সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া কেরোসিনের আগুনে মুন্নী খাতুন নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন। পুলিশ বলছে তার স্বামী নিজেই কেরোসিন ছিটিয়ে তাকে হত্যা করেছে । এ ঘটনার পর তার স্বামী সাতক্ষীরা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।
শনিবার রাতে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার বাগমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে রোববার সকালে মারা যান তিনি।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন জানান পাঁচ মাস আগে মুন্নির একটি শিশু পুত্র জন্ম গ্রহন করার পর থেকে স্বামী মুসা গাজি দ্বিতীয় বিয়ে করার চেষ্টা করার চেষ্টা করছিল। এ নিয়ে মুন্নি খাতুন ( ২৫) এর সাথে স্বামী মুসা গাজির পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এ কারণে স্বামী প্রায়ই তাকে মারধর করতো। প্রতি রাতে তাকে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাইরে চলে যেতো মুসা গাজি।
তিনি বলেন শনিবার রাতে ঘুমন্ত স্ত্রী মুন্নি খাতুনের দেহে কেরোসিন ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় মুসা গাজি। এর পরপরই স্বামী নিজেই তা নেভানোর ভান করে। এ সময় মুসাও কিছুটা দগ্ধ হয়।
ওসি আরও জানান গুরুতর দগ্ধ স্ত্রী মুন্নিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালে ভর্তি হয় স্বামী মুসা। তিনি জানান মুন্নির অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনায় পাঠানো হয়।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানান খুলনায় নেওয়ার পথে মারা যান মুন্নি খাতুন। এর আগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী মুসা।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফরহাদ জামিল বলেন ‘ মুন্নির দেহের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়। এ জন্য তিনি মারা গেছেন’।
পুলিশ জানিয়েছে মুন্নির লাশ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পাটকেলঘাটা থানায় মামলা হয়েছে।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মুছা গাজীকে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থেকে আটক করা হয়েছে।