ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা রেওয়াজ অনুযায়ী কোর্ট খোলার দিন চা-চক্রের মিলনমেলায় আমাদের উপস্থিত থাকার জন্য দাওয়াত দিয়েছিলেন। এখন তার ছুটি চাওয়াটা স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে।
আজ বেসরকারি টিভি চ্যানেল- ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি’র সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাতকারে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব একথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কোর্ট খোলার পর ১৫৩ আসনে বিনাভোটে নির্বাচনের বৈধতা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা এই শুনানি শোনার কথা ছিল। তাই প্রধান বিচারপতির হঠাৎ এই ছুটির ব্যাপারে অন্য কোনও কারণ আছে বলে আমরা মনে করছি। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি এখন কী অবস্থায় আছেন তাও আমরা জানি না।
তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহ্য অনুযায়ী আগামীকাল চা-চক্রে সকল জাস্টিস এবং আমরা সিনিয়র আইনজীবীরা আমন্ত্রিত ছিলাম…। কিন্তু হঠাৎ করে উনি (প্রধান বিচারপতি) এক মাসের ছুটির আবেদন কেন করলেন? এর পিছনে হয়তো অন্যকোনও কারণ আছে।
তিনি বলেন, এর আগে ৫ জানুয়ারি (২০১৪) ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে ১৫৩জন বিনাভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেটির বৈধতা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আপিল বিভাগে সেটি শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সেই শুনানিটি যাতে উনি করতে না পারেন, সে কারণেই তাকে হয়তোবা চাপের মুখে ছুটির আবেদন করতে হয়েছে।
চা-চক্রের দাওয়াত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার পক্ষ থেকেই করা হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, অবশ্যই তার তরফ থেকেই দাওয়াত দেয়া হয়েছিল।
১৫৩ জন সংসদ সদস্যের বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানির সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু এটা সাংবিধানিক পয়েন্ট তাই আমার মনে হয় ৭ দিনে শেষ হয়ে যেত।
৭ দিনে আসলে সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপিল বিভাগে শুনানির জন্য রয়েছে। ৭-৮ দিন অথবা সর্বোচ্চ ১ মাস লাগত। তিনি যাতে শুনানি নেয়ার সুযোগ না পান সে কারণেই এ দীর্ঘ ছুটির ব্যবস্থা করা হয়েছে
খন্দকার মাহবুব বলেন, উনি কেন হঠাৎ করে এক মাসের ছুটিতে যাবেন, এটাই তো রহস্য।
আইনজীবীদের মিলন মেলা আগামীকাল হবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না, বলেন খন্দকার মাহবুব।