মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর বর্বর নির্যাতনের মুখে অং সান সু চিকে দেয়া ব্রিটেনের অক্সফোর্ড শহরের নগর কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের সম্মান প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
অক্সফোর্ড শহরের নগর কাউন্সিল সু চিকে দেয়া সম্মান প্রত্যাহার করে নেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট হিউ কলেজ কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চির পোট্রেট সরিয়ে নিয়েছিল।
অক্সফোর্ড নগর সরকারের প্রধান বলছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গা মুসলিমদের প্রতি যে আচরণ করছে, তাতে সুচি আর ‘ফ্রিডম অব দ্য সিটি’ নামের ওই পুরস্কারের যোগ্য নন। ২০ বছর আগে তাকে ওই সম্মান দেয়া হয়েছিল।
অক্সফোর্ড শহরের সঙ্গে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চির নাম জড়িয়ে আছে, কারণ তিনি সেখানে পড়াশোনা করেছিলেন। পরে তিনি তার শিক্ষাবিদ স্বামীর সঙ্গে ওই শহরে থাকতেন।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কলেজে ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত সু চি পড়েছেন, সেই সেন্ট হিউজ কলেজ কর্তৃপক্ষও গত সপ্তাহে তার একটি পোর্ট্রেট নামিয়ে ফেলেছে।
এদিকে তার নোবেল পদক প্রত্যাহারের দাবিতেও অনলাইনে এক পিটিশনে কয়েক লাখ মানুষ সই করেছে। তবে নোবেল কর্তৃপক্ষ সে সম্ভাবনা নাকচ করেছেন।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্যাতন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীর সমালোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক গণআদালত তাকে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তাণ্ডবে জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর তাণ্ডবকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত জাতিগত নিধনযজ্ঞের উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ।