রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত ওই গৃহবধূ রাতেই থানায় এসে অভিযোগ করেন। পরে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, নির্যাতিত গৃহবধূ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা কর হয়েছে।
নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী জানান, বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে তার শ্বশুরবাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে যান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে ভ্যানগাড়িযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকার মাঝামাঝি এলে আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের নবির উদ্দিন, মিজান আলীসহ ৭-৮ জন ব্যক্তি তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পাশেই নবির উদ্দিন ও মিজানের একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়।
নির্যাতিত ওই নারী বলেন, ‘আমাদের পথ আগলে যখন দাঁড়ায় নবির উদ্দিন ও মিজানসহ ৭-৮ জনের হাতেই ধারালো দেশিয় অস্ত্র ছিলো এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায় এবং চিৎকার চেঁচামেচি করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা। ’ তিনি আরও জানান, ৭-৮ জনের মধ্যে নবির উদ্দিন ও মিজান নামের দু’জনকে তিনি চিনতে পারেন। বাকিদের আগে কখনও দেখেননি বলেও জানান তিনি।
ওই নারীর স্বামী বলেন, ‘পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে আমাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে এবং রাত ৮ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত পুকুরপাড়ে ৭-৮ জন মিলে একাধিকবার আমার স্ত্রীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে অনেক অনুরোধ করলে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর শর্তে আমাদের ছেড়ে দেয়। ’ এরপর ওই রাতেই ভ্যান যোগে পুঠিয়া থানায় এসে পুলিশের কাছে ঘটনাটি জানান তারা।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুঠিয়া পাঠিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।