ছুটিতে যাওয়ার দু’দিন পর প্রথম জনসম্মুখে প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এসকে সিনহা) বাসায় আছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, উনি বাসভবনেই আছেন। তবে তিনি কারও সঙ্গে দেখা করবেন কি করবেন না, সেটা ওনার নিজস্ব ব্যাপার। আমরা কী নির্দেশনা দিতে পারি?’

প্রধান বিচারপতির অবস্থা জানতে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা চেয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ওই আবেদন করেছিলেন।

বিকালে এসকে সিনহা কাকরাইলের হেয়ার রোডের বাসভবন থেকে কড়া নিরাপত্তায় স্ত্রীসহ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে যান। লক্ষ্মীপূজায় অংশ নেন। এর মধ্য দিয়ে  ছুটিতে যাওয়ার দু’দিন পর প্রথম জনসম্মুখে এলেন প্রধান বিচারপতি । বিকাল ৫টা ৪৮ মিনিট থেকে ৬টা ১১ মিনিট পর্যন্ত মন্দিরে ছিলেন তিনি। এ সময় অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীও সেখানে ছিলেন। প্রধান বিচারপতিকে দেখে অসুস্থ মনে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে রানা দাশগুপ্ত যুগান্তরকে বলেন, ‘উনাকে দেখে অসুস্থ মনে হয়নি।’

এর আগে অস্ট্রেলিয়া যেতে ভিসার জন্য আবেদন করেন এসকে সিনহা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তিনি গুলশানে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কার্যালয়ে গিয়ে এ আবেদন করেন। সূত্রমতে, প্রধান বিচারপতির এক মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তার কাছে থেকেই তিনি চিকিৎসা নেবেন।

সন্ধ্যায় সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত দুটি ফাইল নিয়ে তার বাসায় গিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্টের বেঞ্চ রিডার মাহবুব হাসান। পৌনে ৬টার দিকে তিনি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢোকেন। ৭টার দিকে বেরিয়ে আসেন। পরে মাহবুব হাসান নিজেই এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।

এসকে সিনহা কেমন আছেন জানতে চাইলে মাহবুব বলেন, শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হল তিনি স্বাভাবিক আছেন, অসুস্থ নন। এ ‘অসুস্থতার জন্য ছুটি’ নিয়েই ২ অক্টোবর থেকে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে। প্রধান বিচারপতিকে ‘ছুটিতে পাঠানোর প্রতিবাদে’ বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। দুপুরে মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সমাবেশও করেন তারা। অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলালের সভাপতিত্বে সমাবেশে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, মির্জা আল মাহমুদ, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মোহাম্মদ আলী, রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাদের বাদানুবাদ বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল। সমিতি একটি রাজনৈতিক দলের কব্জা হয়ে নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে- অ্যাটর্নি জেনারেলের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, সমিতিকে আমরা কখনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করিনি। বরং অ্যাটর্নি জেনারেল তার অফিসকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছেন।

আর প্রধান বিচারপতি দেশের বাইরে যাওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি (এসকে সিনহা) তো এর আগে বহুবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় গিয়েছেন। আমার জানা মতে, তার এক মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় এবং এক মেয়ে কানাডায় থাকেন। ওইসব দেশে এর আগেও উনি গিয়েছেন। এখন উনি যাবেন কি যাবেন না, সেটা সম্পূর্ণ উনার নিজস্ব বিষয়। কাজেই এগুলো নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করাই ভালো।

দিকনির্দেশনা চেয়ে আবেদনের শুনানি : সকাল ৯টায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এজলাসে বসেন। শুরুতেই অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এসকে সিনহার অবস্থা জানতে চেয়ে করা আবেদন পাঠ করে শোনান। তিনি জানান, ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে গেলে তাদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, সংবিধানের ১০৩-এর আওতায় এটি পড়ে কিনা? পড়লে আমরা যেতে পারি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য এ আরজি। এ সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা আইনের অধীন। জেনেছি উনি অসুস্থতার জন্য পারফর্ম করতে পারছেন না। তাই জ্যেষ্ঠ বিচারপতি হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের কথা শুনলাম। আমরা চিন্তা করে দেখব।

আইনজীবী সমিতির সভাপতি বলেন, আমরা আপনার কাছে এসেছি দিকনির্দেশনা চাইতে, সহযোগিতার জন্য। আদালত তখন বলেন, আমি নিশ্চিত, তিনি বাসায় আছেন। আশা করি এ বিষয়ে আপনারা আমার চেম্বারে আসবেন, দেখা করবেন।

এ পর্যায়ে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, বিষয়টি উদ্বেগের। এর সঙ্গে বিচার বিভাগ সম্পর্কিত। জবাবে আদালত বলেন, আমরা আইনের ভেতরে থেকেই দায়িত্ব পালন করছি। এ সময় সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতকে বলেন, আপনারা (আদালত) একজন রেজিস্ট্রার পাঠিয়ে বিষয়টি জানতে পারতেন। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা বিষয়টি দেখব। আপনারা উদ্বেগ জানিয়েছেন, আমরা (আদালত) শুনলাম।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক তিন সভাপতি- ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এজে মোহাম্মদ আলী, সাবেক বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বিচারপতি আবদুল আউয়াল, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদলসহ জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা।

পরে জয়নুল আবেদীন বলেন, বুধবারের সিদ্ধান্ত অনুসারে আমরা সংবিধানের অভিভাবক সর্বোচ্চ আদালতের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ হলেও আমরা তাকে দেখতে চাই, কথা বলতে চাই। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমাদের এ অধিকার আছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদের যেতে দিচ্ছে না। আপনারা সংবিধানের অভিভাবক। আপনাদের কাছ থেকে একটা প্রোপার সিস্টেম চাই।

আদালত আপনাদের কী বলেছেন? এ প্রশ্নের জবাবে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আদালত আমাদের কথা শুনেছেন এবং বলেছেন- আপনাদের বিষয়টি আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখছি। আপনারা এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চেম্বারে আসুন।’

যাবেন কিনা- জানতে চাইলে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করব। তবে কখন দেখা করব, সেটি সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

মওদুদ আহমদ বলেন, এ সংকটটি কোনো দলীয় সংকট নয়। দলমত নির্বিশেষে আমাদের সবারই উদ্বেগ যে, আমাদের দেশের প্রধান বিচারপতি অসুস্থ আছেন। তার সঙ্গে দেখা করে আমরা তাকে সমবেদনা জানাতে চাই। তার সুস্থতা কামনা করতে চাই।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে দেশে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। অনেকে অনেক ধরনের কথা বলছেন। সেটি দেশের জন্য, সরকারের জন্য, বিচার বিভাগের ভালো নয়। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির বিষয়টি নিয়ে আদালতের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে চাই।

শুনানির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সকালে আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ কয়েকজন আইনজীবী আপিল বিভাগ বসামাত্রই সেখানে গিয়ে বলার চেষ্টা করেছেন প্রধান বিচারপতি কোথায় আছেন? তারা তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি স্পষ্টভাবে তাদের জানিয়েছেন, উনি নিজ বাসভবনে আছেন। আইনজীবীরা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আদেশ চান। তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটি আপিল বিভাগের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের বলেছেন তিনি যেদিন দায়িত্ব নিলেন, সেদিনই উচিত ছিল সমিতির যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের উনার সঙ্গে দেখা করার। তারা দেখা করেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অন্য যে কোনো বিষয়ে আদালতের সামনে এ রকম প্রার্থনা না করে ব্যক্তিগতভাবে তাদের চেম্বারে গিয়েও তাদের এসব উদ্বেগ জানাতে পারতেন।’

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সমিতির নেতাদের সাক্ষাৎ : বিকাল ৫টায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার খাস কামরায় যান। এ সময় তারা ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি আবারও তুলে ধরেন। তারা এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে পদক্ষেপ নেয়ার আবেদন জানান। সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সহসভাপতি মো. ওজিউল্লাহ, উম্মে কুলসুম রেখা, সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ট্রেজারার রফিকুল ইসলাম হিরু, সহকারী সম্পাদক শামীমা সুলতানা দিপ্তী, শফিকুল ইসলামসহ নির্বাচিত ১৪ জন সদস্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে সমিতির নেতারা বৈঠক করেন।

পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেছেন, তিনি বিষয়টি আইনমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। আইনমন্ত্রী তাকে বলেছেন যে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারও বাধা নেই। তবে প্রধান বিচারপতি কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন, সেটা তার ব্যাপার।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান বিচারপতি : মন্দিরের ব্যবস্থাপক তপন ভট্টাচার্য্য জানান, পূজা দিতে স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। মন্দিরে তিনি ২০ মিনিটের মতো ছিলেন। প্রধান বিচারপতি সিনহা ‘গৃহবন্দি’ অবস্থায় আছেন বলে বিএনপি দাবি তোলার মধ্যেই তিনি মন্দিরে গেলেন। তবে তার এই মন্দিরে যাওয়া পূর্বনির্ধারিত ছিল না। বাসার বাইরে সব মিলিয়ে ৬৫ মিনিট ছিলেন তিনি।

পূজা দেয়ার পর মন্দিরের দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষে কিছুক্ষণ বসেছিলেন প্রধান বিচারপতি সিনহা। এ সময় সেখানে প্রবীণ আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত ও সুব্রত চৌধুরীও ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইনমন্ত্রী চলে যাওয়ার কয়েক মিনিট পরই প্রধান বিচারপতির গাড়ি তার বারান্দার কাছে অবস্থান নেয়। ৫টা ২৫ মিনিটে তিনি ও তার স্ত্রী গাড়িতে ওঠেন। প্রধান বিচারপতির গাড়ির সামনে ও পেছনে পুলিশের দুটি পিকআপ ছিল। প্রতিটিতে চালক বাদে পাঁচজন করে পুলিশ সদস্য ছিলেন। তারা ছিলেন অত্যন্ত সতর্ক। প্রধান বিচারপতির গাড়ির পাশ দিয়ে কোনো গাড়ি বা মোটরসাইকেলকে যেতে দেননি তারা। গাড়ি যানজটে দাঁড়ালে সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা পিকআপ থেকে নেমে তার গাড়িকে ঘিরে রেখেছেন। গাড়ির বহরটি কদম ফোয়ারা দিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে বিকাল ৫টা ৪৭ মিনিটে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পেঁৗঁছায়। গাড়ি থেকে নেমে প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী মন্দিরের মূল অংশে গিয়ে পূজা দেন। পুলিশ সদস্যরা এ সময় মণ্ডপের বাইরে অবস্থান করেন। পাঁচ মিনিটে পূজা শেষ করে তারা বেরিয়ে আসেন।

প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী এরপর মন্দিরে স্থাপিত দেবী দুর্গার মূর্তিতে প্রণাম করে সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে মন্দির প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এরপর তার গাড়িবহর পলাশী মোড় দিয়ে শাহবাগ হয়ে সাড়ে ৬টায় বাসভবনে ঢোকে। গাড়িবহরটি যখন টিএসসি অতিক্রম করে, তখন সাদা রঙের আরেকটি ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ডওয়ালা গাড়িবহরে ঢোকে। এ গাড়িটিও তার বাসভবনে ঢোকে।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে থাকা চকবাজার থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব সরকার বলেন, প্রধান বিচারপতি আসবেন, এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে ছিল না। হঠাৎ করেই তিনি আসেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন কমিটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব কুমার দে বলেন, প্রধান বিচারপতির আসার বিষয়টি পূর্বনির্ধারিত ছিল না। তিনি এসেছিলেন লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে। এ সময় মন্দিরে পূজা উদ্যাপন কমিটির তেমন কোনো নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন না। যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির তেমন কোনো কথাও হয়নি।

Check Also

তালায় ইউপি পরিষদ কক্ষে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

তালা প্রতিনিধি তালার ইসলামকাটি ইউনিয়ন পরিষদে সাংবাদিক আক্তারুল ইসলাম ও আতাউর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী রমজান আলী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।