রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা ও বর্বর নির্যাতন বন্ধ না হলে এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিক অধিকার না দিলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার হুমকি দিলেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি জিহাদের ডাক দেওয়ার হুমকি দেন। শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রামের লালদীঘির ময়দানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ বক্তব্য রাখেন তিনি। এ সময় জিহাদের জন্য কারা প্রস্তুত আছেন জানতে চাইলে সমবেত নেতাকর্মীরা সবাই হাত তুলে সমর্থণ জানান। আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেন, মিয়ানমারের অশান্তির নেত্রী অং সান সু চি একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সেদেশের সরকারি বাহিনী যে হত্যাকা- চালাচ্ছে তা বিশ্বের যে কোনো হত্যাকা-ের চেয়ে মর্মান্তিক। গণহত্যার দায়ে সু চিকে আন্তর্জাতিক আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে তাকে। হেফাজত আমির বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু রাজনৈতিক নয়, মানবিক। আমরা দায়িত্ববোধ থেকে আন্দোলন করছি। নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক ও ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ রোহিঙ্গা মুসলমানকে তুমি হেফাজত কর। রোহিঙ্গা নারী শিশুদের হেফাজত কর। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নাস্তিক বানানোর চেষ্টা চলছে, খুবই সতর্ক থাকুন। তাদের জন্য গ্রামে গ্রামে যেন মসজিদ, মাদ্রাসা হয়, সেভাবে চেষ্টা করবেন।
সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী সমাবেশে বলেন, কূটনৈতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করুন। তাতে কাজ না হলে স¤পর্ক ছিন্ন করুন। তারপরও যদি না হয়, সু চির বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিন। আমরা জিহাদের জন্য প্রস্তুত আছি। জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, মুসলিম রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিয়ে যথাযথ মর্যাদা দিতে হবে। অন্যথায় জিহাদের ডাক দেওয়া হবে। সমাবেশে হেফাজতের নায়েবে আমির আল্লামা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা নুর হোসেন কাসেমী, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, ড. আহমদ আবদুল কাদের, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা সলিমুল্লাহ, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা হাসনাত আমিনী, মাওলানা জাফরুল্লাহ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন। উল্লেখ্য, রাখাইনে মুসলিমদের ওপর গণহত্যা বন্ধ, মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে গত ২৩ই সেপ্টেম্বর এই সমাবেশের ডাক দেন হেফাজতে ইসলাম। সমাবেশটি প্রথমে কক্সবাজারে করার কথা বললেও পরে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।
Check Also
আশাশুনিতে সেনাবাহিনীর হাতে অস্ত্র ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে সেনা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও গুলিসহ ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করছে। …