রোহিঙ্গা শিশু —আইয়াতুল্লাহ ঘরে মায়ের রক্তাক্ত লাশ ফেলে পালিয়ে এসেছি

বর্তমানে কুতুপালং টিভি রিলে কেন্দ্রের পশ্চিম পাশে ঝুপরি ঘর তৈরি করে বাবার সঙ্গে বসবাস করছে ৭ বছরের শিশু আইয়াতুল্লাহ। পরিবারে আর কেউ নেই তাদের।

জন্মভূমি মিয়ানমারে তাদের ওপর সেনাবাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের কথা  জানিয়েছে সে।

বৃহস্পতিবার বিকালে আইয়াতুল্লাহ জানায়, ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বাড়ি গিয়ে বাবাকে বেঁধে রেখে মাকে বিবস্ত্র করে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।

তখন তার মা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বর্বর সেনা ও বিজিপির সদস্যরা তার মায়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে গর্ভের সন্তান বের করে ফেলে। ওই সময় বাবা চিৎকার দিয়ে উঠলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে বেধড়ক মারধর করে।

এরপর তাকেসহ বাবাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় মাকে ফেলে জীবন বাঁচাতে সে আর তার বাবা ওই রাতে রওনা হয় বাংলাদেশের উদ্দেশে।

সাত দিন পাহাড়ে-বনে-জঙ্গলে অনাহারে থেকে হেঁটে তারা পৌঁছে যায় কোয়াংছিবন সীমান্তে। সীমান্তের পরিস্থিতি বুঝে বাবা তাকে নিয়ে আঞ্জুমানপাড়া হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

আইয়াতুল্লাহর সঙ্গে যখন কথা হয়, তখন সে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল। তার বাবার নাম শামসুল আলম, মায়ের নাম ছিল দিলবাহার। তারা মিয়ানমারের বলিবাজার ধুমবাই এলাকার বাসিন্দা।যুগান্তর

Check Also

আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া রাস্তার বেহাল দশা।। বিপত্তিতে শতাধিক পরিবার।।দ্রুত সংস্কার দাবি 

এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি।।আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড খালিয়া গ্রামের সানাপাড়ার প্রায় শতাধিক পরিবার একটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।