শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের গৌরবময় অংশীদার বাংলাদেশের দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপোনস (আইকান)-এর সঙ্গে যৌথভাবে পারমাণবিক অস্ত্র বিরোধী প্রচারণায় কাজ করে। বাংলাদেশের এই দুটি এনজিও হলো সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (সিবিএস) এবং ফিজিশিয়ানস ফর সোশাল রেসপনসিবিলিটি বাংলাদেশ (পিএসআরবি)। আইকান বিশ্বজুড়ে ১০১ টি দেশের ৪৬৮টি অংশীদারের সঙ্গে একত্রে কাজ করে। এর মধ্যে বাংলাদেশের এ দুটি এনজিও রয়েছে। আইকান বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এ পুরস্কার পাওয়ার পর সিবিএস-এর সামাজিক পেজগুলোতে অভিনন্দন বার্তার বন্যা ডেকেছে। চতুর্দিকের মানুষ তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছে আইকানের সঙ্গে জড়িত থাকায় এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জেতায় অংশীদার হওয়ার জন্য। সিবিএসের জেনারেল সেক্রেটারি অরূপ রাহী বলেছেন, তার সংগঠন সব সময়ই শান্তির পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে কাজ করার। তিনি বলেন, সব রকম পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহারের বিরোধী সিবিএস। পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারকে। ওদিকে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে আসছে সিএসআরবি। এর প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান খান বলেন, আমাদের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পওয়া এক বিপুল উৎসাহ। এতে পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে অন্যদেরকেও কাজ করতে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যুুদ্ধের হুমকিতে রয়েছে। আমরা ভাত ও পাকিস্তানের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের মতো ভয়াবহ অবস্থা ও উত্তেজনা প্রত্যক্ষ করেছি। এমন অবস্থায় আইকানের প্রচারণাকে স্বীকৃতি দেয়ায় আমরা উদ্বুদ্ধ হয়েছি। কামরুল হাসান খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলরও। তিনি বলেন, আমরা চাই অস্ত্রমুক্ত এক শান্তিময় বিশ্ব। উল্লেখ্য, আইকান নিজেদেরকে বাংলাদেশ সহ শতাধিক দেশের বেসরকারি সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের একটি জোট বলে নিজেদের বর্ণনা করেছে। তাদের যাত্রা শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৭ সালে ভিয়েনা থেকে তাদের পথচলা শুরু। উল্লেখ্য, এ পুরস্কারের অন্যতম অংশীদার সিবিএস একটি বাংলাদেশী অলাভজনক এনজিও। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা, পরামর্শ ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকে। ২০১৩ সালে এটি গঠিত হয়। এর পরের বছরই তারা আইকানের সদস্য হয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে কাজ করে। সেমিনার আয়োজন করে। বই ও জার্নাল প্রকাশ করে। আইকানের সমর্থন নিয়ে তারা বাংলায় একটি বই প্রকাশ করেছে। এর নাম ‘কেনো পারমাণবিক অস্ত্র এখনি নিষিদ্ধ হওয়া উচিত’। এটি প্রকাশ হয় ২০১৪ সালে।
Check Also
৩০ জুলাই পর্যন্ত অনেক দল সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, সংগ্রামে যুক্ত হবে কি না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, …