পারিবারিক কলহের জের ধরে ৮ মাসের শিশুকন্যা তাহা ইসলামকে পুকুরে নিক্ষেপ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। তবে ঘটনার পর থেকে শিশুটির মা পলাতক রয়েছেন।
সোমবার সকালে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলধারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাহা ইসলাম একই এলাকার সোহেল মিয়ার মেয়ে। সোহেল পেশায় ভ্যানচালক।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ভোরে বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদ রোডের পাশে একটি পুকুরে ৮ মাসের এক কন্যাশিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। কিন্তু তার আগেই লাশ শনাক্ত করেন শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া।
তবে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি শিশুটির মা জাহানারা বেগমকে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পানি থেকে শিশুটিকে ওপরে তোলা হয়।
নিহত শিশুটির বাবা সোহেল জানান, তিন বছর আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দেড় গ্রামের জাহানারা বেগমকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সন্তান হচ্ছিল না। পরে অনেক সাধনার পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান, নাম রাখা হয় তাহা ইসলাম।
ঘটনা সম্পর্কে বাবা সোহেল জানান, রোববার সকালে শিশু তাহা ঘরের চৌকি থেকে পড়ে যায়। এ নিয়ে সোহেলের বাবা তার পুত্রবধূর সঙ্গে রাগারাগি করেন। এরই মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও চলছিল ঝগড়া।
এই ঝগড়া-বিবাদের ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অগোচরে সোমবার ভোরে জাহানারা বেগম তার ৮ মাসের কন্যাকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। সকাল থেকে দুজনকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাচ্ছিলেন না সোহেল।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের বানিয়াজুরী বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন একটি পুকুরে শিশু তাহা ইসলামের লাশ ভাসতে দেখা যায়। শিশুটির বাবার অভিযোগ, তার স্ত্রী মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।
ঘিওর থানার এসআই মজিবুর রহমান জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের কারণেই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে।
শিশুটির বাবা সোহেল মিয়ার কথা অনুযায়ী তার স্ত্রী জাহানারা বেগম মেয়েকে পানিতে ফেলে হত্যা করে পালিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান এসআই।