কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক একে অন্যের দেশে ভ্রমণের ভিসা প্রদান স্থগিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা স্থগিতের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরেই তুরস্কও একই ধরনের ঘোষণা দেয়। খবর আলজাজিরার।
গত বছর তুরস্কে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করা হয়। তার সঙ্গে যোগসূত্র থাকার সন্দেহে গত সপ্তাহে ইস্তানবুলে মার্কিন দূতাবাসের এক কর্মকর্তাকে আটক করে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।
ওয়াশিংটন এ ঘটনার নিন্দা জানায় এবং অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট থেকে আটক কর্মকর্তা একজন পুরুষ তুর্কি।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য তুরস্কের সব কূটনৈতিক মিশন থেকে নন-ইমিগ্রেশন ভিসা দেয়া স্থগিত করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন ভিসা চালু রয়েছে।
ভ্রমণ, চিকিৎসা, ব্যবসায়িক কাজ ও শিক্ষাসহ অস্থায়ী ভিত্তিতে বিভিন্ন কারণে নন-ইমিগ্রেশন ভিসা দেয়া হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য অভিযুক্ত ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ দিয়ে যাচ্ছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।