চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার আগমুহূর্তে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে দেশের বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতি আরও তীব্রতর হলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনও লন্ডনে চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা শেষে তিনি যথাসময়ে দেশে ফিরবেন। তাঁর ফেরার সময়ও প্রায় আসন্ন। আর ঠিক এই মূহুর্তে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ঘটনা সম্পূণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসামূলক। এর মাধ্যমে দেশে সরকারের সৃষ্ট বিভেদ-বিভাজনের রাজনীতিকে আরো তীব্রতর করা হলো। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বসে শেখ হাসিনা বলেছিলেন- ‘বিএনপি’র সঙ্গে আর কোন সংলাপ বা সমঝোতা হবে না’। শেখ হাসিনার ঐ বক্তব্যের মাঝেই চরম আক্রোশের একটা পূর্বাভাস ছিল। এখন তিনি দেশে ফিরে বিরোধীদলশূণ্য বাংলাদেশ বানানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সম্প্রতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকারের যে সন্ত্রাসী আক্রমণ তার প্রথম নমূনা আজ আমরা বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে প্রত্যক্ষ করলাম। নিম্ন আদালতকে কব্জায় নেয়ার পর এখন গায়ের জোরে সর্বোচ্চ আদালতকে ক্রমান্বয়ে নিয়ন্ত্রণে নিতে সরকার সকল ধরণের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারী ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে একক নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রব্যবস্থাকে কায়েম নিশ্চিত করতে চায়। এ জন্য বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার তা নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। সেই লক্ষ্য পূরণে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাধীন স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত সর্বোচ্চ আদালতকে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে কব্জায় নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী। সম্প্রতি পাশবিক কায়দায় সর্বোচ্চ আদালত ধ্বংসের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করছি। ক’দিন ধরে সর্বোচ্চ আদালতের ওপর সরকারের বেপরোয়া আস্ফালনে দেশবাসী বিমূঢ় ও বিস্ময়ে হতবাক। এখন সেই আস্ফালনে উৎসাহিত হয়ে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনসহ জাতীয়তাবাদী শক্তির ওপর আক্রমণ শুরু করেছে। যার প্রথম বহি:প্রকাশ হলো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনকে মানসিকভাবে দুর্বল করতে সরকারের এহেন প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশলের মাধ্যমে তাঁকে হেনস্তার সকল অপচেষ্টা রুখে দেবে ইনশাল্লাহ। খালেদা জিয়া ক্রান্তিকালে দেশ ও জনগণের সঙ্গে সবসময় পাশে থেকেছেন। তার বিরুদ্ধে সরকারের কোন অশুভ পরিকল্পনা সফল হবে না। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এ পরোয়ানা জারির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি।
Check Also
পরপর পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় দেশজুড়ে নতুন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি
(২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের আগে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকায় সচিব …