মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জেনারেলদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও যুক্তরাষ্ট্র।
সংশ্লিষ্ট দেশ ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের কারণেই মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তবে নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন ওয়াশিংটন, ইয়াঙ্গুন ও ইউরোপভিত্তিক কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াশিংটন ও ব্রাসেলস এ জন্য আরও কিছু দিন সময় নিতে পারে। এ ছাড়া রাখাইনে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা বাড়ানোরও আলোচনা চলছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বরে রাখাইনে নতুন করে সেনাদের দমনপীড়ন শুরু হলে স্রোতের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে, যা বর্তমানে ৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা বলছে, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সেনাসদস্যরা নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ মারছেন, ঘটছে ধর্ষণের ঘটনা।
বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘসহ বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আগামী ১৬ অক্টোবর বৈঠকে বসবেন। তবে োই বৈঠকে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে না বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব সেনা কর্মকর্তা, বৌদ্ধ মিলিশিয়া নেতা রোহিঙ্গা নিধন বিতাড়নের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধেই এ নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষিদ্ধ এবং এদের সঙ্গে আমেরিকানদের ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধসহ অন্যান্য কিছু বিষয় আসতে পারে।
ইয়াঙ্গুনভিত্তিক এক সিনিয়র ইউরোপিয়ান কূটনীতিক বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো এ বিষয়ে একমত যে, সমস্যার মূলে সেনাবাহিনী। বিশেষত কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাইং, যে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপে যাকে টার্গেট করা দরকার।