ঢাকা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির করা হয়েছে নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমানকে। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল নিযুক্ত করা হয়েছে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুমকে।
গতকাল দলটির আমির মকবুল আহমাদ এবং সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানকে গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মোতাবেক এ দুইজনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
দলটির প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ সন্ধ্যায় এতথ্য জানানো হয়েছে।
নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে তিনদিনের কর্মসূচী ঘোষণা
বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল করবে জামায়াত
ঢাকা : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সেক্রেটারি জেনারেল ডা: শফিকুর রহমানসহ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের গ্রেফতার ও ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার প্রতিবাদে তিন দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করেছে দলটি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে দলটির নবনিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ ১০ অক্টোবর এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, আগামীকাল ১১ অক্টোবর বুধবার সারা দেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ। ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সারাদেশে সকালÑসন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সর্বাত্মক হরতাল। ১৩ অক্টোবর শুক্রবার গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির জন্য সারা দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল।
দলের পক্ষ থেকে ঘোষিত তিনদিনের কর্মসূচী শান্তিপূর্ণভাবে সর্বাত্মক সফল করার জন্য তিনি জামায়াতের সকল শাখা সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সকল বিরোধী দলকে নেতৃত্ব শূন্য করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর রাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। সরকারের এ ধরনের অন্যায়, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আচরণের নিন্দা জানানোর কোন ভাষা নেই।
তিনি বলেন, নেতৃবৃন্দকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমা-ে নিয়ে সরকার মানবাধিকার লংঘন করে তাদের উপর চরম জুলুম করছে। কোন সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের অন্যায় আচরণ কখনো কল্পনাও করা যায় না। সরকারের এ অন্যায় ও অমানবিক আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের একটি আইনানুগ বৈধ রাজনৈতিক দল। অথচ সরকার দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবত জামায়াতে ইসলামীকে প্রকাশ্যে কোন সভা-সমাবেশ ও মিছিল করতে না দিয়ে আমাদের আইনগত এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার হরণ করেই চলেছে। সরকার দেশের সংবিধান ও আইন লংঘন করে জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের উপর জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন চালাচ্ছে। সরকার জামায়াতসহ বিরোধী দলের নেতাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, গুম ও হত্যা করছে। কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশের জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।
সরকার একে একে দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও হরণ করেছে। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার বলতে কোন কিছু আর বাকী নেই। দেশের জনগণ অসহায় হয়ে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন মুজিবুর রহমান।