প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে সরকার ‘কারসাজি করে’ সরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির ছুটি সম্পর্কে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় গণমাধ্যমে যেসব বিষয় উঠে এসেছে- এ দেশের মানুষ খুব পরিষ্কার করে বুঝে গেছে- এটা হচ্ছে আপনাদের (সরকার) কারসাজি, এই কারসাজি করে আপনারা এই প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে দিচ্ছেন। অপরাধ একটাই তিনি (প্রধান বিচারপতি) সত্য কথা বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, মানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেছেন।’
তিনি বলেন, আজকে অত্যন্ত দুঃসময়, দেশের ইতিহাসে এরকম দুঃসময় আর কখনও আসেনি। আমার যা কিছু অর্জন একাত্তর সালে সবকিছু তছনছ হয়ে যাচ্ছে, আমার যা কিছু অর্জন নব্বই সালে সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমার সব প্রতিষ্ঠানকে যা বুকের রক্ত দিয়ে অর্জন করেছি, এরা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে হায়নারের মতো। সর্বশেষ আক্রমণ বিচার বিভাগ। ওই একটা জায়গা ছিল যেখানে গিয়ে দাঁড়াতে পারত মানুষ, সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শক্তিশালী গোয়েন্দার বিরুদ্ধে, শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে দাঁড়াতে পারত। সেটাও এখন নেই।
ফখরুল বলেন, এখন যে আপিল বিভাগ, সেই আপিল বিভাগের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পরে ক্ষীপ্ত হয়ে এখন সেটাকে ধবংস করার জন্য সব কাজ তারা (সরকার) সম্পন্ন করেছে। এই জাতির মানুষেরা কীসব আহম্মক, বুঝে না কিছু। তারা এখন ভিন্ন আঙিকে ভিন্ন মোড়কে একই কায়দায় একইভাবে সব অধিকার কেড়ে নিয়ে আবার সেখানে শুধু তাদের শাসনকে পাকাপোক্ত করছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ পরিষদের উদ্যোগে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে পুলিশের গুলিতে নিহত নাজিরউদ্দিন জেহাদের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডাকসু’র সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নাজিম উদ্দিন আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, খন্দকার লুত্ফর রহমান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, আসাদুর রহমান খান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মীর সরফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সাইফুল ইসলাম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের রাজীব আহসান, প্রয়াত জেহাদের ভাই কেএম বাশার প্রমুখ বক্তব্য দেন।