বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার বাড়ি ঘেরাও তুলে নিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সরে গেছেন।
বিএনপি নেতার বাড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জানান নোয়াখালী সদর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, দুপুর ২টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের বাড়ির সামনে থেকে পুলিশ সরে যায়।
এর পরও বাড়ির আশপাশে কিছু আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অবস্থান করলে বাড়িতেই অবস্থান করেন শাহজাহানসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মিছিল বের করেন। মিছিলটি মাইজদি টাউন হলে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
তারা চলে যাওয়ার পর বিএনপি নেতার বাড়ির পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার সকালে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেয়ার সময় পুলিশ এসে নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ নিয়ে বিএনপি ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহানের বাড়ি ঘেরাও করে অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও।
বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানের গ্রামের বাড়িতে এসে নেতাকর্মীদের অতর্কিত হামলা করে। এ সময় লাঠিপেটা ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে তাদের ধাওয়া করে বাড়িটি ঘেরাও করে অবস্থান নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। জবাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে সদর থানার ওসি, চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাফিয়া সুলতানা, বিএনপিকর্মী ইরফাতসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি জসিম ও জেলা যুবদলের সভাপতি মাহবুব আলমগীর আলোসহ গ্রেফতার হয়েছেন ১০ জন।
জানা গেছে, সকালে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের মাইজদীর রশিদ কলোনির বাড়িতে জড়ো হন। একপর্যায়ে ওই বাড়ি থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান সড়কের দিকে আসতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন তারা।
এরপর পুলিশ তাদের লাঠিপেটা ও গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে। বিএনপির উত্তেজিত কর্মীরা এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মাইজদী-সোনাপুর সড়কের দুদিকে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে।