নেত্রকোনা: নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই রামকৃষ্ণ মিশন সড়ক এলাকায় নিজ বসতঘরে মিহির কান্তি বিশ্বাস (৭০) ও তার স্ত্রী তুলিকা বিশ্বাস (৫০) খুন হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত মিহির বিশ্বাস নেত্রকোনা সদর উপজেলার কৃষ্ণগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন। তার স্ত্রী তুলিকা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
নিহত দম্পতির গৃহপরিচারিকা জয়া রাণী জানান, বুধবার দুপুরে তিনি ওই বাসা থেকে কাজ করে গিয়েছিলেন। শুক্রবার আবার বাসায় কাজ করতে এসে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পেয়ে আশপাশের লোকজনকে জানান। ওই বাসা থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা বাসার দরজা দিয়ে মিহির কান্ত বিশ্বাস তার স্ত্রী তুলিকা চন্দ্রের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে খবর পেয়ে নাগড়া এলাকার বাসিন্দা মিহির বিশ্বাসের ছোট ভাই সমীর বিশ্বাস স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় রান্না ঘরের মেঝেতে তুলিকার মরদেহ ও শয়ন কক্ষের খাটের ওপরে মিহিরের লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে তারা মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত তুলিকার ভাই হোমিও চিকিৎসক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ জানান, ওই বাসায় শুধু তার বোন তুলিকা ও ভগ্নিপতি মিহির থাকতেন। তাদের সুমন নামে এক ছেলে ও সুমি নামে এক মেয়ে রয়েছে। তারা ঢাকায় থাকে। ছেলেটি দুর্গাপূজায় এসেছিল।
তিনি বলেন, ঘরটি এলোমেলো ও আলমারির তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) এস.এম আশরাফুল আলম, মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন (সদর সার্কেল), সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর তৈমুর ইলী।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডটি যে কারণেই ঘটে থাকুক, হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা দ্রুত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনবো।
Check Also
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করেননি সমাজী
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে আন্তর্জাতিক …