বি.এইচ.মাহিনী ঃ সারা দেশের ন্যায় অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন সবজির ক্ষেত অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি এবং খরায় নষ্ট হওয়ায় কাঁচা মরিচ থেকে শুরু করে সব ধরণের সবজির চড়া মূল্যে দিশেহারা সাধারণ মানুষ এমনকি মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষও। খোজ নিয়ে জানা যায়, বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, সিদ্দিপাশা ইউনিয়নসহ দক্ষিণ নড়াইলের বিছালি, কড়োলা এবং সিংগাশোলপুর ইউনিয়নের ফসলী জমির সবজি বিশেষত মরিচ, লাউ, ঝিঙা, বেগুনসহ বেশিরভাগ সবজির গাছ সাম্প্রতিক অতিবর্ষণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আবার অনাবৃষ্টি ও খরার প্রভাবেও নষ্ট হচ্ছে সবজি ক্ষেত। ফলে বেড়েই চলেছে সব ধরণের সবজির দাম। এমন তথ্য মিলেছে ভৈরব উত্তর জনপদের হাট-বাজার গুলোতে ঘুরে। আমতলা, সিদ্দিপাশা, বাবুর হাট, শিঙ্গা বাজার, চাকই হাট, সিংগাড়ী, ভাটপাড়া, হরিশপুর, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন হাট ঘুরে একই তথ্য মিলেছে এ প্রতিবেদকের নিকট। বিভিন্ন সাপ্তাহিক হাট ও বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ ২’শ থেকে আড়াই ’শ, বেগুন ৬০ থেকে ৮০, ঝিঙা ৪০-৬০, লাউ ৪০-৮০, কাচকলা হালি ২০-৩০টাকা সহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। বিক্রেতা ও চাষী আব্দুল মান্নান এ প্রতিবেদককে জানান, সাম্প্রতিক বর্ষনে আমার ঘেরের সব সবজি গাছ মরে গেছে। যা দু একটা আছে তাও অতি গরম ও খরায় মরা পড়বে। সব জায়গায় একই চিত্র। তাই দাম বাড়ছে। চাকই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা যে দামে কিনি তার চেয়ে দু-চার টাকা বেশি বিক্রি করি। এখন কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। কেননা, বাজারে সবজির ঘাটতি। সবজি ক্রেতা মোনজেল শেখ জানান, আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে যাচ্ছে। শুধু প্রতি হাটে সবজি কিনতেই চলে যাচ্ছে আয়ের অর্ধেক টাকা। অন্যদিকে চাল, ডাল, মাছ তো থাকলে। এমন । উর্ধ্ব মূল্যের এই বাজারে প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত সকলেই পড়েছেন মহা বিপদে।
১৪-১০-১৭