জি,এ, গফুর, পাইকগাছা ॥
শিক্ষা বান্ধব সরকারের গনমুখি শিক্ষা কার্যক্রমের পরিকল্পনা ব্যাহত করতে পাইকগাছা- কয়রা দু উপজেলা সীমান্তের ৩ বিদ্যাপিঠ ও ১টি পরীক্ষা কেন্দ্রকে জড়িয়ে বিতর্ক তুলে মহল বিশেষ সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ ্উঠেছে। বিশ্লেষকদের মতে শিক্ষার্থী সংকটের আশংঙ্খায় পড়ে কয়রার দু’একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের নীতি নির্ধারকরা চাপ সৃষ্ঠি করে পাইকগাছার গড়ইখালী’ কেন্দ্র থেকে বিচ্ছন্ন করতে চান্নিরচক এলসি কলেজিয়েট স্কুল, হড্ডা ডিএম ও হড্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কাছে টানার কৌশল অবলম্বন করেছেন। এলাকার সাংসদ আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক পর্যন্ত গড়ালে তিনি সংশ্লিষ্ঠদের মাথা থেকে এ পরিকল্পনা মুছে ফেলার কথা বলেছেন। এ দিকে ৩ টি স্কুল ও গড়ইখালী’ কেন্দ্র নিয়ে পরীক্ষায় অবৈধ সুবিধা দেওয়া- নেওয়া ও তদন্তে নেমেছে শিক্ষা বোর্ড ২৫ সেপ্টম্বরে যশোরের একটি দৈনিকের নৈতিবাচক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষাবিদ, শিক্ষার্থী ও অবিভাবকরা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এটা স্বার্থ রক্ষার জন্য এ অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন। উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্রসহ পদস্থ কর্মকর্তারা দু’উপজেলার বাতিলযোগ্য জেএসসি, এসএসসির ভ্যেনু পরীক্ষা কেন্দ্রসহ নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে তাঁরা সরকারের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শিক্ষার প্রসার ও মানবৃদ্ধিতে কেন্দ্রগুলোয় স্বচ্ছভাবে পরীক্ষা গ্রহনসহ যে কোন অনিয়ম রোধে সংশ্লিষ্ঠ কেন্দ্র সচিব ও্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, ম্যানেজিং কমিটিসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করে তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে গড়ইখালী আলমশাহী বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মধুসূধন সরকার এবং প্রতিষ্ঠানের সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থী সংকটে পড়ে কয়রার জায়গীর মহলসহ দু’একজন কেন্দ্র সচিব গড়ইখালী কেন্দ্রকে জড়িয়ে অপপ্রচার ছড়িয়ে কেন্দ্র থেকে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চান্নিরচক এলসি কলেজিয়েট স্কুল, হড্ডা ডিএম ও হড্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে সরিয়ে তাদের কেন্দ্রে যুক্ত করার চেষ্ঠা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। বিষয়টি তাঁরা স্থানীয় এমপিকে অবহিত করলে আলহাজ্ব এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক সংশ্লিষ্ঠদের সাথে কথা বলে এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় ২২ সেপ্টেম্বর বোর্ড নিয়ন্ত্রকের পরিদর্শনের পর তার প্রতিষ্ঠানকে উদেশ্য করে অবৈধ সুবিধা দেওয়া- নেওয়া অভিযোগ প্রত্যাখান করে দু’উপজেলা সীমান্তের চান্নিরচক এলসি কলেজিয়েটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাজিব কুমার বাছাড় যশোরের একটি পত্রিকার রিপোর্টে মোটামুটি, কিছুটা প্রমান এটা দু’একজন প্রধান শিক্ষকরা মনগড়া কথা। তিনি ‘অ’ শব্দটি বাদ দিয়ে, গড়ইখালী কেন্দ্রে যুক্ত হয়ে প্রকৃত পক্ষেই বৈধ সুযোগ ও উপকৃত হয়েছেন। তিনি আরোও বলেন, তার বিদ্যাপিঠের ৬০ ভাগ শিক্ষার্থী গড়ইখালী ইউপি’র বিভিন্ন গ্রামের। এ ছাড়া জায়গীর মহল কেন্দ্রের দুরত্ব ১৬ কিঃমিঃ, গিলাবাড়ী কেন্দ্র নদী পারসহ যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক। অন্যদিকে গড়ইখালীর কেন্দ্রের দুরত্ব মাত্র ৫ কিঃ মিঃ, সহজ যোগাযোগ, স্বল্প খরচে শিক্ষার্থীরা বাড়ী থেকে পরীক্ষা দিতে পারে এবং এলাকার মানুষের দাবী অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হড্ডা ডিএম ও হড্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দুই প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন সরদার ও মনোজ কুমার বর্মন তাদের স্কুল নিয়ে অসত্য রিপোট সম্পর্কে বলেন, নিকটবর্তী অবস্থান, ভাল যোগাযোগ, আর্থিক দিক, নিরাপত্তা ও জনমতের চাহিদা মতে গড়ইখালী কেন্দ্রে তাঁরা যুক্ত হয়েছেন। শিবসা নদী সংলগ্ন হড্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জায়গীর মহল ২৫ ও নদী পার গিলাবাড়ী কেন্দ্রের দুরত্ব ১৫। সংশ্লিষ্ঠ শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ পেয়ে তাঁরা গড়ইখালী কেন্দ্রে যুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে পাইকগাছা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজিত কুমার সরকার ও গড়ইখালী’ শহীদ আয়ুব ও মূসা ডিগ্রি কলেজ শিক্ষক দু’উপজেলার স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের ভিজিলেন্স টিমের সর্বশেষ সদস্য উৎপল কুমার বাইন বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে যুক্ত হওয়ার ব্যাপারটি জেলা, উপজেলা বা ইউনিয়নের বিষয় নয়, বাড়ী থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে এবং সুবিধামতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যে কোন কেন্দ্রে যুক্ত হতে পারবে এটা শিক্ষামন্ত্রীর এ ধরনের নির্দেশনাও রয়েছে। তাছাড়া এখনকার পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনিময়ের সুযোগ কম, প্রতিদিন বোর্ডে রিপোর্ট দিতে হয় বোর্ড প্রতিনিধি, ইউ,এন,ও নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরাও পর্যবেক্ষন করে থাকেন। এ বিষয়ে গিলাবাড়ী হাই স্কুল প্রধান শিক্ষক ও সচিব আঃ সামাদ ও জায়গীর মহল কেন্দ্রের সচিব প্রধান শিক্ষক উৎপল কুমার সানা তাদের শিক্ষার্থী সংকটের কথা অ-স্বীকার করে এ প্রতিনিধিকে জানান, পত্রিকায় রিপোর্ট বা কোন কেন্দ্র ও স্কুল নিয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই বলে মতামত দেন। পাইকগাছা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জয়নাল আবদীন বিভিন্ন বিষয়ে যশোর বোর্ডের নিয়ন্ত্রকের পরিদর্শন কথা জানিয়ে বলেন, নিজেরাই এক পরীক্ষা কেন্দ্র আরেক কেন্দ্রকে দোষারোপ করে নিজেদের অবস্থান নষ্ট করছেন বলে জানিয়েছেন। এক উপজেলার স্কুল আরেক উপজেলায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে না বা গ্রহনযোগ্য নয় এ সম্পর্কে কয়রা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুলতান মাহমুদ তাঁরা শুধু মতামত দিতে পারেন কিন্তু সামগ্রিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বোর্ডে কর্তৃপক্ষের বিষয় বলে মন্তব্য করেন।
পাইকগাছায় মৎস্য আড়ৎদারী সমিতির কার্যালয় উদ্বোধন ও জেলা পরিষদ সদস্যকে সংবর্ধনা
পাইকগাছা প্রতিনিধি ॥
পাইকগাছায় মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যালয় উদ্বোধন ও জেলা পরিষদ সদস্যকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় পাইকগাছা পৌর সদরে অবস্থিত মৎস্য আড়ৎদারী সমবায় সমিতি লিঃ এর কার্যালয়ে জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপুকে সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং এরপূর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুল জব্বাবের সভাপতিত্বে ও সমিতির সম্পাদক স.ম. আব্দুর রবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কার্যালয় উদ্বোধন ও সংবর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মাহবুবুর রহমান রঞ্জু, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর সভাপতি এ্যাডঃ মোর্তজা জামান আলমগীর রুলু, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জি,এ গফুর। অনুষ্ঠান শুরুতে সমিতির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, সমিতির সদস্য মেছের আলী সানা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ, পিন্টু লাল দে, ইউপি সদস্য আবু হাসান, মহিলালীগ নেত্রী জুলি খাতুন, সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ জাকির হোসেন, আফজালুর রহমান, আজহারুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, মাসুম হোসেন, কামাল আহমেদ, নুরুজ্জামান, শওকত আলী সরদার, মোহাম্মদ আলী, বজলুর রহমান, বিশ্বজিত দাশ, মশিউর রহমান, শাহীন আহমেদ, আব্দুর রাজ্জাক, পবিত্র কুমার মন্ডল, মোঃ আমিনুর রহমান, রিপন, বিধান, মুজিবুর রহমান কাগজী, মোকলেছুর রহমান। দুপুরে উক্ত কার্যালয়ে মোর্তজা জামান আলমগীর রুলুর সভাপতিত্বে সমিতির সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত এবং বিগত সভার হিসাব পেশ করা হয়।
প্রেরক
জি,এ, গফুর
পাইকগাছা, খুলনা।