ঢাকা: বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করলে দেশে ফিরে এসে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূর পরাহত বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি দেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই বিবৃতির মাধ্যমে সব খোলাসা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একই বেঞ্চে বসতে পাঁচ বিচারপতির অনীহার কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল প্রধান বিচারপতির বিদায়ের যাত্রাকালে তার বাসভবনের সামনে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে দেশবাসী বিভ্রান্ত হয়েছেন। দেশবাসীর এই বিভ্রান্তি দূর করতে পাঁচ বিচারপতির আজকের দেওয়া বিবৃতির প্রয়োজন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহাব মিয়া বিচারিক কাজ পরিচালনা, বেঞ্চ গঠনসহ সকল দায়িত্ব তিনি সাংবিধানিকভাবে পালন করতে পারবেন।’
মাহবুবে আলম বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির ছুটি নিয়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছিল, এ বিবৃতির মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটবে।’
এদিকে , আজ বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের বিচারপতিরা প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহহার বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনসহ ১১টি অভিযোগ আনেন। ওই সকল অভিযোগের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর দিতে যদি তিনি ব্যর্থ হন তাহলে তার সঙ্গে বিচারালয়ে বসে বিচার কার্য পরিচালনা সম্ভব হবে না।
রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত বিবৃতির শেষাংশে বলা হয়, প্রধান বিচারপতির পদটি একটি প্রতিষ্ঠান। সেই পদের ও বিচারবিভাগের মর্যাদা সমুন্নত রাখার স্বার্থে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের তরফ হতে কোনো প্রকার বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করা হয় নাই। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশক্রমে উপরোক্ত বিবৃতি প্রদান করা হল।
এর আগে, আজ শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু কুমিল্লায় একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে কিছু দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো প্রমাণ সাপেক্ষ।