সাতক্ষীরা সদরের চুপড়িয়া গ্রামের এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতেই নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের গৌরহরি দাস ১৯৮৮ সালে তার জমি একই গ্রামের মাহাবুবর রহমানের কাছে বিক্রি করে ভারতে চলে যান। এরপর থেকে গৌরহরি দাসের শরিকদের জমি বিক্রি করে চলে যাওয়ার জন্য মাহাবুবর রহমান ও তার ছেলেরা চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। এরই জের ধরে মরা পঁচা দুর্গন্ধ শিয়াল অন্য জায়গা থেকে বাড়ির পাশে এনে ফেলে রেখে বিরোধ সৃষ্টি করা ও গত কোজাগরী লক্ষীপুজার রাতে জানালা ভাঙচুর করার অভিযোগ রয়েছে মাহাবুবর রহমানের ছেলে দেলোয়ার ও গোলাম পরোয়ারের বিরুদ্ধে। এরই জের ধরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে মাঠে ছাগলের জন্য ঘাস কাটার সময় মুখ চেপে ধরে দু’পা মেগহনি গাছের সঙ্গে ও দু’ হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে তাকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে তার মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মারুফ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় নির্যতিতার স্বামী বাদি হয়ে দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা দু’ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শুক্রবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত দেলায়ারকে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Check Also
আশাশুনি সদর ইউনিয়ন জামায়াতের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন
এস,এম মোস্তাফিজুর রহমান,আশাশুনি প্রতিনিধি।।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ডে আংশিক কমিটি গঠন করা …