কলারোয়ায় খোরদো স্বামীর তৈরি করা বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করায় বিধাব স্ত্রীর সংবাদ সন্মেলন

ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,সাতক্ষীরা ব্যুরো প্রতিনিধি,

সাতক্ষীরার কলারোয়া স্বামীর তৈরি করা বাড়িতে থাকার জন্য এক অসহায় বিধবা স্ত্রী ও তার শিশু এতিম ছেলেকে গৃহহীন করে পাঁয়তারা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকাল ১০টার দিকে রিপোটার্স ক্লাবে হাজির হয়ে এই সংবাদ সন্মেলন করেন। সংবাদ সন্মেলনে স্বামী হারা সদ্য প্রয়াত আহম্মদ আলী মোড়লের স্ত্রী বানু বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন তার স্বামী দীর্ঘদিন যাবৎ মালয়েশিয়ায় থেকে জীবনের সকল আয়ের টাকা খরচ করে কলারোয়া উপজেলার খোরদো বাজারে তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মান করে সেখানে বসবাস করত। সুখের সংসারে হঠাৎ বাঁধ সাধে তার এই বাড়িটি। তার এই বাড়িটি নেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বামীকে জখম করে। এর কিছুদিন পরেই ২০১৬ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যশোরের একটি বে-সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন তার স্বামী মারা যাওয়ার সময় সে ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা ছিল। সে একটি পুত্র সন্তান প্রসাব জন্ম দেন। সেই সময় থেকে শুরু হয়ে যায় তার উপর অমানবিক নির্যাতন। এমনকি তাদের বাড়ির নিচে গোডাউনের মধ্যে জীবন যাপন করতে বাধ্য করেছে অভিযোগকারীরা এবং সে ও শিশু পুত্রকে জীবন নাশের চেষ্টা করতে থাকে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার স্বামীর তৈরি করা বাড়ী থেকে শ^শুর আজিমউদ্দিন মোড়ল, দেবর জুম্মাত মোড়ল, ননদাই আরিজুল, আজারুল, ননদ মর্জিনা খাতুন, কুলসুম ও সন্ত্রাসী রহিম অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সে সময় কোন উপায় না পেয়ে শিশু সন্তানকে নিয়ে খোরদো ক্যাম্পের ইনচার্জকে মৌখিক ভাবে জানালে এসআই হাসানুজ্জামান তাৎক্ষনিকভাবে তার শ^শুর উপজেলার খোরদো গ্রামের মৃত মান্দার মোড়লের ছেলে আজিমউদ্দিন মোড়ল ও তার ছেলে জুম্মাত মোড়লকে ডেকে বলেন বাড়িতে যেন বানু বেগম বসবাস করতে পারে সেই ব্যবস্থা করবেন। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার এই শিশু নিয়ে যেন স্বামীর নিজ হাতে তৈরী করা বাড়িতে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত থাকতে পারি সে জন্য সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। এ ব্যাপারে খোরদো ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হাসানুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিকভাবে সেখানে যেয়ে তার থাকার ব্যবস্থা করে দেই এবং দুই পক্ষকে শনিবার বিকালে বসার জন্য নির্দেশ প্রদান করি। স্থানীয় চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান মফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি বিষয়টি শুনেছি কিন্তু কোন পক্ষ আমাকে না বলায় আমি বিষয়টি নিয়ে কিছু করতে পারছি না। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোনে সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বানু বেগম মাননীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা জলবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভা

শাহ জাহান আলী মিটন , সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরা   জেলা  জলবদ্ধতা নিরসন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাতক্ষীরা জেলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।