ইটভাটা ও চিংড়ি ঘেরে শ্রম বিক্রি করে বাসিন্দাদের সংসার চলেইটভাটা ও চিংড়ি ঘেরে শ্রম বিক্রি করে বাসিন্দাদের সংসার চলেপাইকগাছায় দেখভালের অভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরগুলো ধ্বংসের পথে!
জি,এ, গফুর, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছায় রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালের অভাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে দরিদ্রদের পুনর্বাসনকল্পে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরগুলো ধ্বংসের দাড়প্রান্তে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় প্রকল্পের বাসিন্দা মধ্যবয়সী নুরজাহান, তোহরা বিবি ও ওসমান মল্লিকদের মত বহু পরিবার এ বর্ষা মৌসুমে জলকাদায় চরম হতাশার মধ্যে যাপিত জীবন প্রতি মুহুর্তে উৎকন্ঠায় পার করছেন। জানা গেছে, ইতোমধ্যে বহু পরিবার বিকল্প কাজের সন্ধ্যানে ব্যারাক ছেড়ে চলে গেছে। যারা জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে আছে সে সমস্ত নারী পুরুষরা ইটভাটা ও চিংড়ি ঘেরের শ্রম বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার গদাইপুর ইউপির বাইশারাবাদ মৌজায় শিবসা শাখার হাঁড়িয়া নদীর তীরে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা সাংবাদিকদের আগমন দেখে তাদের দুঃখ, কষ্ট, জীবন সংগ্রামের কাহিনী গণমাধ্যমে তুলে ধরে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের অনুরোধ করেছেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের বর্তমান সভাপতি ওসমান মল্লিক জানান, সরকার দরিদ্রদের পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে বাইশারাবাদে ৯.১১ একর সরকারি সম্পত্তিতে ১৯৯০ সালে বিভিন্ন স্থানের মত এখানে ৬টি ব্যারাকে ৬০টি টিন সেডের ছাউনী ঘর তৈরী করেন। জানা গেছে, ২০১১ সালে প্রকল্পের ৬০টি পরিবারকে ঘরের চাবি তুলে দিয়ে বসবাসের ব্যবস্থা করেন স্থানীয় প্রশাসন। পরবর্তীতে দলিলও হস্তান্তর করা হয়। বাসিন্দা জহুরা বিবি, নুরজাহান, মনোয়ারা বেগম, নারায়ন চন্দ্র রায় সহ অনেকেই আশা-আকাঙ্খার কথা জানিয়ে বলেন, এখানে তাদের ছেলে-মেয়েদের পড়াশুনার জন্য স্কুল, খেলার মাঠ, ব্যারাকের ভিতরে রাস্তা-ঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সবই প্রাপ্তির কথা ছিল। কিন্তু আজও তার প্রতিফলন ঘটেনি। সুযোগ-সুবিধার অভাবে ইতোমধ্যে ৬০টি পরিবারের থেকে ব্যারাক ৩৫টি পরিবার টিকিয়ে আছে। বর্ষার মৌসুমে ভাঙ্গা-চুরা টিনের ছাউনী দিয়ে ঘরে পানি ঢুকে জল-কাঁদায় দিনরাত পার করতে হয়। উঠানে স্যাঁতস্যাঁতে অবস্থা, পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, শিশুদের মধ্যে পানিবাহিত রোগ-বালাই লেগে আছে। তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জুনায়েদুর রহমান ২ হাজার একটি পানির ট্যাংকি, একটি টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২নং ব্যারাকের ১০টি, ৪নং ব্যারাকের ৫টি ও অফিস কক্ষ, টিনের ছাউনীর কাজ করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, অধিকাংশ পুরাতন টিনে পুটিং করে কাজ করা হয়েছে। যার স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তারা অবিলম্বে প্রকল্পের ঘরগুলো মেরামত করে বসবাসের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফকরুল হাসান সরকারের পুনর্বাসনের জন্য প্রকল্পে একবারে বাসিন্দাদের জন্য ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। যার দলিল হস্তান্তর, প্রশিক্ষণ ও পর্যাপ্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন সরকারের পরবর্তী সিদ্ধান্তের অপেক্ষার কথা জানিয়েছেন।
পাইকগাছার সোলাদানায় হিউম্যান রাইটস’র কার্ড বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিতজি,এ, গফুর, পাইকগাছা (খুলনা) ॥ পাইকগাছার সোলাদানায় ইউনিটি ফর ইউনিভার্স হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কার্ড বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে আমুরকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগঠণের ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, সংগঠণের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও পাইকগাছা উপজেলা কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম কচি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিচালক পাইকগাছা-কয়রার সমন্বয়ক মোঃ নিজাম উদ্দীন, উপজেলা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দীন সানা শাহীন। বিমল কৃষ্ণ সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, হিরন্ময় রায়, প্রণব কান্তি, বিকাসেন্দু সরকার, সায়েদ আলী মোড়ল কালাই, ভুবনেশ্বর মন্ডল, বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, তরুন কান্তি সরকার, নরেশ চন্দ্র মন্ডল, শংকর মন্ডল, সুজন রায়, শ্যামল মন্ডল, কালিপদ মন্ডল, বিধান চন্দ্র সানা, বিলাশ কান্তি মন্ডল, ধীরাজ মন্ডল, স্বপন বৈরাগী, বিকাশ মন্ডল প্রমুখ।