মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর পরিচালিত অত্যাচার, হত্যাযজ্ঞ ও ধর্ষণের মতো বর্বরকাণ্ডের সমালোচনা চলছে পুরো বিশ্বজুড়ে।
তবে দেশটির সরকার বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
এবার দেশ ছেড়ে আসার জন্য রোহিঙ্গাদের দায়ী করলেন দেশটির সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে। তার দাবি- পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়েছে। আর এসব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে ১০ বছর সময় লেগে যেতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আলজাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে দেশটির সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আয়ে দাবি করেছেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার ছেড়ে পালানো পূর্বপরিকল্পিত হতে পারে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা চলছে’, বিশ্বের সামনে এমন চিত্র তুলে ধরতেই পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে রাখাইনের মুসলিমরা।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দায়িত্বে থাকা এই মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের পরিচয় নিশ্চিতে উদ্যোগ নিচ্ছে মিয়ানমার সরকার। রাখাইনে বসবাসের যোগ্য বিবেচিতদের ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনে তাদের থাকার জন্য সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে নিক্কি এশিয়ান রিভিউকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী জানান, নভেম্বরের শুরু থেকেই বাংলাদেশে আশ্রিতদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হতে পারে। তবে এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে ১০ বছর লেগে যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।