কক্সবাজার: সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টে আবারো রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ইঞ্জিন নৌকা ডুবির ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ২১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
জানা যায়, ১৬ অক্টোবর ভোরের দিকে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য আসা অতিরিক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই (৩৫/৪০জন) একটি ট্রলার টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টের বঙ্গোপসাগর উপকূলের পশ্চিমপাড়াস্থ ভাঙ্গা পয়েন্টে দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে, জনসাধারণ ও কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে। ঘটনাস্থল হতে ২১জন নারী-পুরুষ ও শিশুদের জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৪ শিশু, ২ পুরুষ ও ৪ নারীসহ ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও অবশিষ্টরা এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মৃতের এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
শাহপরীরদ্বীপ কোস্টগার্ড ষ্টেশন কমান্ডার লেঃ জাফর ইমাম শরীফ জানান, মিয়ানমার হতে অতিরিক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগর হয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার নুরুল আমিন জানান, ফজরের নামাজ পড়ে হাঁটার সময় রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা আসতে দেখেন। কিছুক্ষণ পর উক্ত রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির খবর পেয়ে তিনিসহ লোকজন গিয়ে ৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করেন। এরপরও উদ্ধার অভিযান চলছিল। অপর কিছু লোক সাতাঁর কেটে উপকূলে আসতে দেখা গেছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত (সকাল ১০টায়) জানান, ৪ শিশু ও ১ নারীর মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করেন।