উখিয়ার পালংখালীর আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে আবারও বানের স্রোতের মতো রোহিঙ্গা আসা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে এ যাত্রা শুরু হয়।
একদিনেই প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা নারী-শিশু-পুরুষ সীমান্তের শূন্য রেখা পার হয়ে কুতুপালং-বালুখালী ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকায় মিশে যায়। এ নিয়ে সংবাদ প্রচারের পর সীমান্তরক্ষী বাহিনী সীমান্তজুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করে।
ফলে এরপর থেকে আসা রোহিঙ্গারা শূন্য রেখায় আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে ভারীবর্ষণ শুরু হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। বৃষ্টিতে ভিজে শিশু ও বৃদ্ধরা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
সীমান্তে দায়িত্ব পালনকারী বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের ক্যাপ্টেন রুবেল জানান, নতুন ও পুরনো মিলে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এ সংখ্যা সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ-উখিয়ার স্থানীয় জনগণের চেয়ে অধিক। এখানে আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গাদের খাবার, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশনসহ প্রয়োজনীয় অন্য সুবিধা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশে আর সুযোগ দেয়া যাবে না।
কারণ স্থানীয়দের চেয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা এরই মধ্যে বেড়ে গেছে। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে