ঢাকা: কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়াই আগামীকাল বুধবার গুলশানের বাসায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে খালেদা জিয়ার। জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া যাতে নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারেন সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া ও তাঁকে কোনো ধরনের হয়রানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিমানবন্দরে নেত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও তার অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনগুলো।
জানা গেছে, আজ বিকেলে ডিএমপি কমিশনারের সভাপতিত্বে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় পুলিশের করণীয় বিষয়ে সভার মূল এজেন্ডা ছিল। ওই সভায় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে নির্বিঘ্নে বিমানবন্দর থেকে বাসায় ফেরা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভার সিদ্ধান্তের আলোকে পুলিশের উত্তরা ও গুলশান জোনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিত নির্দেশনা দেয় ডিএমপি। এতে বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো ধরনের হয়রানি না করে নির্বিঘ্নে গুলশানের বাসায় পৌঁছতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশনা হয়।
অপরদিকে, খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে ইতোমধ্যে গুঞ্জন ছড়ানো হয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানালেন আদালত কর্তৃক জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনো পুলিশের কাছে পৌঁছায়নি। একই কথা বলছেন পুলিশের আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক।
প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়া গত ১৫ জুলাই চোখ এবং পায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। সেই থেকে তার এই সফরকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের বিতর্ক হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ‘তিনি লন্ডন বসে ষড়যন্ত্র করছেন’ ‘মামলার ভয়ে বিদেশ পালিয়ে গেছেন’ ‘আর দেশে ফিরে আসবেন না’ প্রভৃতি। ফলে বেগম খালেদা জিয়া কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।
এরই মধ্যে সাপ্তাহিক শীর্ষকাগজে গত ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, ২২ অক্টোবরের আগে বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন। পরে প্রতিবেদনটি শীর্ষনিউজ ডটকমেও পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছিল।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আস্থাভাজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের ইতিমধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে বলে পত্র-পত্রিকায় খবর এসেছে। তাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের আসন্ন এই বাংলাদেশ সফরকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
Check Also
ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়
দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …