ঢাকা: দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুরান ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত বিশেষ আদালতে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আকতারুজ্জামান-খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে আদালতের অনুমতি ছাড়া পরবর্তীতে বিদেশ যেতে পারবেন না বেগম জিয়া।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টায় জামিন শুনানি শেষে ১ লাখ টাকা বন্ডে খালেদা জিয়াকে দুই মামলায় জামিন দেন।
এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় আদালতে পৌঁছেন তিনি। এর পরে আইনজীবীদের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
বিএনপির চেয়াপারসনের পক্ষে আদালতে জামিন আবেদন করেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জামিন চান।
অপরদিকে জামিনের বিরোধিতা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালত দুপক্ষের শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেছেন, আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
এর আগে সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন খালেদা জিয়া। এ সময় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে ছিলেন।
তাছাড়া দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে এ দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার বিকেলে তিনি দেশে ফেরেন।
গত ১২ অক্টোবর মামলা দুটিতে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির কার্যক্রম শেষ করে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করে দেন। আর চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি জেরার পর্যায়ে রয়েছে।