ক্রাইমবার্তা রির্পোট:ঘরবাড়ি সহায় সম্পদ সব কিছু পেছনে ফেলে শুধু জীবন নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজারের কুতুপালং, বালুখালি, পালংখালির বিভিন্ন ক্যাম্পে। সব হারালেও, নিজেদের ঐতিহ্য হারাননি মিয়ানমারের রাখাইনে বর্মী সেনাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া মুসলিম রোহিঙ্গারা।
শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় তিন লাখই শিশু। এদের বেশির ভাগেরই দিন কাটে খাবারের খোঁজে।
তবে হাজারো সমস্যার মধ্যে শিশুগুলো ঠিকই শিখে যাচ্ছে কুরআন। রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা শিশুদের জন্য কুরআন শিক্ষার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে তারা কুরআন শিক্ষা ও অধ্যয়ন করছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন নেই বললেই চলে। তাই খাদ্যের নিশ্চিয়তা মিললেও পড়ালেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে কিছু কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠান পড়ালেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে- আগামী বছর নাগাদ ১৩০০ স্কুল স্থাপন করবে ইউনিসেফ। এতে হয়তো দুই লাখ শিশুর পড়ালেখার একটা বন্দোবস্ত হবে।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, রাখাইনে সেনা নিপীড়নে গত ২৫ আগস্ট থেকে দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা। এদের মধ্যে প্রায় ৩ লাখই শিশু। সমসাময়িক বিশ্বে এত বড় শরণার্থী সংকট দেখা যায়নি।