আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে বিশাল ব্যবধানে হারাতে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার অনবদ্য ব্যাটিং ভূমিকা রেখেছিল। তিন ম্যাচের এ সিরিজে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে দলে নেই সেই আমলা। টাইগার সমর্থকরা মনে করেছিল এবার হয়তো আগেভাগেই বেঁধে ফেলা যাবে প্রোটিয়াদের। কিন্তু না!
উদ্বোধনী জুটিতে ১১৯ রান তুলে টাইগারদের দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়ান কুইন্টন ডি কক ও টিম্বা বাভুমা। কিন্তু অফফর্ম নাসিরের জায়গায় খেলার সুযোগ পাওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ প্রোটিয়া শিবিরে জোড়া আঘাত করে কিছুটা স্বস্তি এনেছিলেন। দুই ওপেনারই বধ হয়েছিল তার মায়াবী স্পিনে। কিন্তু অন্য বোলারদের ব্যর্থতায় আবার দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন ডু প্লেসি ও মারক্রাম।
মিরাজের বলে প্রথম বিদায় নেয়া বাভুমা মাত্র দুই রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন। ৪৭ বলে ৪৮ রান করে এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে লিটন দাসের তালুবন্দি হন। এরপর ৬৮ বলে ৭৩ রান করা ডি কক লেগ সাইটে খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হন। ব্যাটের কানায় লেগে বল আকাশে উঠে যায়। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরেন মিরাজ।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ১৫১ রান যোগ করে অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিস ও এইডেন মারক্রাম জুটি। কিন্তু ইনজুরির কবলে পড়ে মাঠ ছাড়েন ডু প্লেসিস। ৬৭ বলে ৯১ রান করে রিটায়ার্ট হার্ট হন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার দলনেতা। কিছুক্ষণ পরই দারুণ এক থ্রুতে মারক্রামকে (৬৬) রান আউট করেন ইমরুল কায়েস।
৪৬তম ওভারে ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়ে দেন রুবেল। ৪৭তম ওভার করতে এসে তাসকিন মুলদার ও পিলোকাউকে ফিরিয়ে দেন। এ সময় রানের গতি অনেকটাই শ্লথ হয়ে যায়। কিন্তু শেষদিকে ফারহান বেহারডিন ও কাগিসো রাবাদার দারুণ কিছু শটে ৩৬৯ রানের বিশাল স্কোর সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।