প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। দেশের ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারছি, তাদেরও খাওয়াতে পারব।’ তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগামীকাল (সোমবার) মিয়ানমার যাচ্ছেন।’ রবিবার (২২ অক্টোবর) গণভবনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ পরবর্তী বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত দুই সদস্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পাশে ভারতের দাঁড়ানোর কথাও স্মরণ করেন তিনি। বৈঠকে সুষমা স্বরাজ রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বোঝা বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায় ভারত। মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের অবশ্যই ফিরিয়ে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ভেতরে আরসাসহ যারা অন্যায়কারী রয়েছে, তাদের শাস্তি হবে কিন্তু নিরপরাধীদের শাস্তি হবে কেন?’
সুষমা স্বরাজ আরও বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে বলেছেন, “আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আপনার (সু চি) যে ভাবমূর্তি আছে, সেটি ধ্বংস করবেন না।”’ রাখাইনে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পরে শেখ হাসিনার হাতে মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন তুলে দেন সুষমা স্বরাজ। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলের মূল কপি এবং মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ৩৮ ইঞ্চি সার্ভিস রিভলভার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন তিনি।