আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া আদালতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সম্পর্কে যে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন তা রাজনৈতিক ভাষা নয়, এটা রাস্তার ভাষা। তিনি আদালতে গিয়ে এমন কিছু বিষয়ের অবতারণা করেছেন, যেগুলো রাজনৈতিক বিষয়। এটা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।’
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বাসভবনে তিনি এসব কথা বলেন। কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহিলা সমাবেশে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেনের সময় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসম্মানজনক ও অপমানজনকভাবে আদালতে নেওয়া হয়েছে। অথচ সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ বাড়ি বরাদ্দ করে সাব-জেল তৈরি করে সেখানে নেওয়া হয়। অথচ খালেদা জিয়া আদালতে বলেন, শেখ হাসিনা সৌভাগ্যবান যে তাকে কখনও আদালতে যেতে হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ত্রাণ দিতে গিয়ে ত্রাণ সরবরাহের পথ রুদ্ধ করবেন না। ত্রাণ সরবরাহ করা না গেলে ছয় লাখ মানুষ কষ্ট পাবে। ত্রাণ দেওয়ার নামে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মহাসড়কে যাওয়া-আসার সময় রাস্তায় সভা করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রাণের নাম করে তিন দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অচল করে রাখবে। এতে ত্রাণ সরবরাহের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। বিষয়টি মানবিক হলেও তাদের উদ্দেশ্য রাজনৈতিক।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের শত শত মানুষকে আপনি পুড়িয়ে মেরেছেন। শত শত মানুষের কান্নার রোল এখনও বাংলার আকাশে ভেসে আসছে। আদালতে গিয়ে কান্নাকাটি করে জনগণের কাছে মায়া-কান্না দেখিয়ে তথাকথিত সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছেন। পুত্রহারা মাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে নিষ্ঠুর আচরণের মুখোমুখি হয়েছেন, তা বিশ্বের কোনও সভ্যতার মধ্যে পড়ে না।’
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি, জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার ও পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।