যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ইমনকে (৩২) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার রাত ১১টার দিকে শহরের বেজপাড়া গুলগোল্লা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়।
নিহত মনোয়ার হোসেন ইমন শহরের গুলগোল্লা মোড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
প্রতিবেশি সোহাগ হোসেন জানান, রাত ১১টার দিকে গুলগোল্লা মোড়ের কালামের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে লুডু খেলছিল মনোয়ার হোসেন ইমন।
এসময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত অন্ধকারে মধ্যে এগিয়ে এসে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। দুটি গুলি ইমনের বুকে লাগে। এরপর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয় বলে জানান সোহাগ।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ইমনের মৃত্যু হয়েছে। পরে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে তার লাশ হাসপাতালে পৌঁছায়।
হাসপাতাল চত্বরে নিহত ইমনের বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ দিলে কি ছেলেকে ফিরে পাবো। কারো কাছে কিছু বলবো না।
ইমনের চাচা বাবুল আকতার বলেন, এলাকায় কোন খারাপ অভিযোগ ছিল না। খুব ভাল ছেলে ছিল ইমন। কারা কী কারণে খুন করলে জানি না।
জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ওসি একেএম আজমল হুদা জানান, রাত ১১টার দিকে দুর্বৃত্তরা ইমনকে গুলি করে হত্যা করেছে। লাশ হাসপাতালে রয়েছে। তবে কী কারণে কারা তাকে হত্যা করলো এখনও জানা যায়নি।
ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ইমন এলাকায় ভাল ছেলে হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে জানান ওসি।