নাটোর প্রতিনিধি:নাটোর শহরের গাড়িখানা এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা না থাকায় ওই এলাকার প্রায় বিশটি পরিবার এখন কার্যত: অরুদ্ধ হয়ে পরেছে। গাড়িখানা মসজিদের পশ্চিমে সরকারী ভূষিখালির জলা নামে একটি সরকারী খাস জলাশয় রয়েছে। সরকারী এই খাল দিয়ে ওই এলাকা সহ শুকুলপট্টি এবং কাপুড়িয়া পট্টি এলাকা দিয়ে বর্ষার অতিরিক্ত পানি ও তরল বর্জ্য কানাইখালীর শহীদ রেজা-রঞ্জুর কবরের পূর্বদিক দিয়ে নারদ নদে গিয়ে পড়ত। প্রভাবশালীরা নিজেদের সুবিধা মত সরকারী জোলাটির অনেক জায়গা বন্ধ করে নিজেদের চলাচলের রাস্তা বা আবসন তৈরী করে নিয়েছে। গাড়িখানা মসজিদ সংলগ্ন জোলার উত্তর পাড়ে চলাচলের জন্য প্রায় একশ’ গজ লম্বা ও ছয়ফুট চওড়া রাস্তা ছিল। দীর্ঘদিন ওই রাস্তা দিয়েই গাড়িখানা এলাকার বিশ থেকে পঁচিশটি পরিবারের লোকজন সহ আশেপাশের অনেকেই চলাচল করতো। গত সাত থেকে আট বছর আগে স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধ ভাবে ভুষিখালি জলার মুখে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছেন। আবার দু’একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারী এই জলাশয়টির কিছু অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে পাকা স্থাপনা তৈরী করে বসাবস শুরু করছেন। এতে করে বর্ষার পানি আর তরল বর্জ্য এখন ওই জলাশয় থেকে বের হতে পারছেনা। এর ওপরে মাছ চাষের জন্য বাঁধ দেয়ার কারণে গাড়িখানা এলাকায় জোলার পানি উপচে পড়ায় রাস্তাটি আস্তে আস্তে ভেঙ্গে একদম বিলিন হয়ে গেছে। এতে এখন জোলার পারের বাড়িগুলো ভেঙ্গে পড়ার হুমকিতে পরেছে। গাড়িখানা এলাকার প্রায় বিশটি বাড়ির লোকজন এখন তাদের নৈমিত্তিক কাজের জন্য অন্যদের বাড়ির ভিতর দিয়ে চলাচল করছে। রিক্স্রা বা মোটর সাইাকেল সহ কোন যানবাহনই তাদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেনা। বিষয়টি নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুনকে জানানো হলে তিনি সরকারী ওই জলাশয়টিতে কে বা কারা বাঁধ দিয়ে দখল করে মাছ চাষ করছে আর কারাইবা পানির প্রবাহ বন্ধ করে রাস্তা বানিয়েছেন তা খতিয়ে দেখার জন্য সদরের সহকারী ভুমি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে আইনী ব্যবস্থার মাধ্যমে জোলাটি উদ্ধার করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে বলেও তিনি জানান। গাড়িখানা মহল্লাটি নাটোর পৌর এলাকার মধ্য হওয়ায় পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি এবং স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন এলাকাটি পরিদর্শন করে মাপ-যোগ করেও গেছেন। তারা পৌর সভার পক্ষ থেকে জোলার উত্তর পাড়ে মাটি ফেলে ভরাট করে রিটেনিং ওয়াল দিয়ে রাণী ভবানী সরকারী মহিলা কলেজের পিছনের রাস্তার সাথে সংযোগ করে একটি দৃষ্টি নন্দন সড়ক তৈরী করার আশ^াস দিয়ে গেছেন। তবে এখনও সে ব্যাপারে কার্যকারী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। অরুদ্ধ এলাকাবাসীর আবেদন জনস্বার্থে সরকারী ভুিষখালির জোলাটি পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে তারা যেন সহজেই চলাচল করতে পারেন তেমন রাস্তার ব্যবস্থা করা। এলাকাবাসী এব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।