ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২৮ বছর আগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে মামলার ১১জন আসামিকে ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। একই মামলায় একজন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির।
রোববার দুপুরে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ঠিক করে দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। শেখ হাসিনা তখন বাড়িতেই ছিলেন।
ফ্রিডম পার্টির নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে ওই হামলা চালিয়েছিল বলে পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। ওই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু ভবনের (বর্তমানে জাদুঘর) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং হামলাকারীরা ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
এর পর ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষ করে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আসামি করা হয় ১২ জনকে।
আসামিরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ মিয়া, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হোমায়েন কবির, মো. শাজাহান বালু, আবদুর রশীদ, জাফর আহম্মদ ও এইচ কবির।
২০০৯ সালের ৫ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। দুই আদালতে দুই মামলার বিচার করেন একই বিচারক।