ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:পাকুন্দিয়া (কিশোরঞ্জ) : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ২/৩ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পাকুন্দিয়ায় থানার এসআই মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ঘটনায় করা মামলায় চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রেনুকে প্রধান আসামি করে ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি পদে মনোনয়ন-প্রত্যাশী হিসেবে রফিকুল ইসলাম রেনু গত ৩০ অক্টোবর বিকালে পাকুন্দিয়া সদর ঈদগাহে শোডাউন ও নির্বাচনী জনসভার আয়োজন করেন।
অপরদিকে স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনের সমর্থক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীদের দিয়ে একই জায়গায় এবং একই সময়ে পাল্টা আরও একটি সভা ডাকেন।
এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শনিবার সন্ধ্যায় ও রোববার সকালে উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল করে।
এলাকায় শান্তি-শৃংখলা ভঙ্গের আশংকায় রোববার রাত সোয়া ৯টার দিকে ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করে স্থানীয় প্রশাসন।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে ৩০ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রফিকুল ইসলাম রেনুর হাজার হাজার সমর্থক ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঈদগাহের দিকে আসতে শুরু করলে এমপির লোকজন ও পুলিশ বাধা দেয়।
এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল এবং লাঠিচার্জ করে।
এতে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয় সুখিয়া গ্রামের সৈয়দুর রহমান (৩৫), পাকুন্দিয়া গ্রামের আবদুল মমিন (৪৫), কুড়তলা গ্রামের দুলাল (৩৪), আলমদী গ্রামের আলমগীর (২৫), চরটেকী গ্রামের মামুন (২২), কুশাকান্দা গ্রামের রতন (২৫) ও পুলেরঘাটের সোলায়মানসহ (৪০) আরও অনেকেই।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. শামছুদ্দিন মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানান ওসি।