ঢাকা: রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিপরীত পাশের গলির ‘মায়া কানন’ নামের একটি বাসায় মা শাসছুন্নাহার (৪৫) ও ছেলে শাওন (১৭)কে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কাকরাইলের ৭৯/১, মায়া কানন ভবনের ৫ তলা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
‘মায়া কানন’ ভবনের নীচ তলায় অবস্থিত একটি গার্মেন্টস এক্সেসরিজ কারখানার কর্মচারী স্বপন জানান, ওই বাড়ীটির দারোয়ান নোমান হঠাৎ চিৎকার দিতে দিতে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন। ওপরে করিম সাহেবের স্ত্রী কে মেরে ফেলেছে বলে বলতে থাকেন। আর এ কথা শুনে আমরা ওপরে গিয়ে দেখি সিঁড়িতে ওনার ছেলের লাশ পড়ে আছে, আর বেডরুমে জায়নামাজের পাশে পড়ে আছে মায়ের লাশ।
বাসার দারোয়ান নোমান বলেন, আমি বাসার নিচ থেকে ওপরে যাওয়ার সময় সিঁড়িতে একজনকে নামতে দেখি। ওপরে কি হয়েছে জানতে চাইলে মারামারি হয়েছে বলে নেমে চলে যান তিনি।
ওই বাসার গৃহকর্মী রাশেদা বেগম জানান, মাগরীবের পরপরই তিনি ওই বাসায় কাজ করতে যান। নিহত শামছুন্নাহার বাসার দরজা খুলে দেন। এবং তিনি রান্না ঘরে গিয়ে কাজ করছেন এমতাবস্থায় হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক চিৎকার দেয়ার পরেও কেউ দরজা খোলেনি বলে জানান তিনি।
তাই তিনি বলতে পারছেন না কে বা কারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছেন। তিনি দেখতে পাননি।
ঘটনার পরে দারোয়ান এসে দরজা খুলে দিলে তিনি রান্না ঘর থেকে বের হন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম জানান, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বাড়ীর গৃহকর্মী রাশেদা বেগমকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।
তিনি বলেন, সবকিছু মাথায় রেখেই আমরা ঘটনাস্থল এবং সম্পূর্ণ ঘটনাটি ইনভেস্টিগেশন করেছি। কার কোথায় আঘাত তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, রাত প্রায় ১১টার দিকে মা ও ছেলের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাম্প ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া শীর্ষনিউজকে লাশ মর্গে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।