ইসলাম প্রচারক ও তুখোড় বক্তা ডা. জাকির নায়েক অবশেষে ঠাঁই পেয়েছেন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ মালয়েশিয়ায় ।
দেশটিতে স্থায়ীভাবে বাস করার অনুমতি পেয়েছেন তিনি।
ভারতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে জাকির নায়েক অভিযুক্ত হয়ে পলাতক ঘোষিত হওয়া। যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ হওয়ার পরও তাকে সাদরে বরণ করে নিয়েছেন মালয়েশিয়ার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা।
গত মাসে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ার পুত্র মসজিদ থেকে জাকির নায়েক একজন দেহরক্ষীকে সঙ্গে নিয়ে জনসম্মুখে বেরিয়ে এসেছিলেন।
সেদেশে এভাবে তার প্রকাশ্যে আসা বিরল ঘটনা।ওই সময় তার চারপাশে মানুষ ভিড় জমায় এবং সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ওই মসজিদে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রায়ই নামাজ পড়েন।
সমালোচকরা মালয়েশিয়ায় নায়েকের উপস্থিতিকে কট্টরপন্থার ইসলামে উচ্চ-পর্যায়ের সমর্থনের আরেকটি লক্ষণ হিসাবেই দেখছেন।
প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের অধীনে সম্প্রতি কয়েক বছরে মালয়েশিয়ায় ইসলামের রাজনীতিকরণ বাড়ছে। বিশেষ করে ২০১৩ সালের নির্বাচনে তার দলের পরাজয় এবং ক্ষমতাসীন জোটের খারাপ অবস্থানের পর থেকে।
তখন থেকেই নাজিবের ক্ষমতাসীন দল স্থানীয় রক্ষণশীল মালয়-মুসলিম ঘাঁটিতে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে। তাছাড়া, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে ঘিরে এখন ধর্মই হয়ে উঠছে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মোক্ষম হাতিয়ার।
৫২ বছর বয়সী জাকির নায়েক সমকামী এবং ইসলাম ধর্মত্যাগীদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সুপারিশ করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) প্রকাশ্য বক্তব্য ও উপদেশের মাধ্যমে দেশটির বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগনামা দাখিল করেছে।
পিস টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে জাকির নায়েক তার বক্তব্য ও মতামত প্রচার করতেন।
গত বছর ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালানো সন্ত্রাসীরা জাকির নায়েকের বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে থাকতে পারেন- এমন খবর প্রকাশের পর পিস টিভি চ্যানেল বন্ধ করে বাংলাদেশ। যদিও হামলার দায় স্বীকার করেছিল জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।