বি.এইচ.মাহিনী : যশোর-খুলনা মহাসড়কের সংস্কার কাজের বছর পার হয়নি। এরই মধ্যে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বহুল জনগুরুত্বপূর্ন যশোর-খুলনা মহাসড়ক। খুলনার সীমান্ত ও যশোরের শুরু রাজঘাট থেকে যশোর পর্যন্ত সড়কের সর্বত্রই খানা খন্দে ভরা। দেখে যেন মনে হয় কলের লাঙলে চষা জমি। সরজমিনে দেখা যায়, যশোর হতে খুলনার সীমান্ত এলাকা রাজঘাট পর্যন্ত প্রায় ৪০ কি.মি. রাস্তার অধিকাংশ জায়গা গর্ত, খানা-খন্দ এবং খাদে পরিণত হয়েছে। বাস, ট্রাক, লরী, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক কোনো পরিবহনই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারছেনা। প্রায়ই গাড়িগুলো দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। বিকল হয়ে পড়ছে গাড়িগুলো । সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। জনদুর্ভোগ চরমে পরিণত হয়েছে। রাজঘাট, তালতলা, নওয়াপাড়ার বেঙ্গলগেট, সর্দারমিলের সামনে, ভাঙ্গাগেট, আলীপুর, চেংগুটিয়া বাজার, মজুমদার এগ্রো ফুড মিলের সামনে, বসুন্দিয়া মোড়, ঘুনি রাস্তা, রুপদিয়া, রাজারহাট, মুড়লী এবং চাচড়ার মোড় এলাকার রাস্তার অবস্থা এত খারাপ যে প্রতিদিন এসব জায়গায় শত শত গাড়ী বিকল হয়ে থাকতে দেখা যায়। সরেজমিনে ইটের খোয়া বালি দিয়ে খানাখন্দ ভরাট করতে এবং কোথাও কোথাও ইটের সলিং করে সংস্কার করতে দেখা গেছে যা দেওয়া আর না দেওয়া সমান এবং সরকারী অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয় বলে অনেকেই মন্তব্য করেন। বেশ কয়েকজন ড্রাইভারের সাথে কথা বললে তারা জানান আমাদের গাড়ী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পার্টস বিকল হচ্ছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে ফলে আমাদের আয় কমে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী এ প্রতিবেদককে বলেন রাস্তার যে অবস্থা গাড়ীতে আর চলার মত নাই গায়ে ব্যথা হয়ে হয়ে যায়। যশোর জেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম এ প্রতিবেদককে বলেন অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে রাস্তার এ বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে এবং সংস্কার কাজ অব্যাহত রয়েছে। খুব শীঘ্রই ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর- খুলনা এবং বেনাপোল- যশোর মহসড়কের কাজ শুরু হবে যার টেন্ডার ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সচেতনমহল মনে করেন একবছরও হয়নি রাস্তায় বিটুমিন ও পাথর দিয়ে প্রলেপ দেওয়ার কাজ। কাজের মান নিম্ন হওয়ার কারণেই স্বল্প সময়ে তা উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দ এবং গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদার কর্তৃক ম্যানেজ হয়ে প্রকৌশলীরা তাদের কাজের বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন বলে তাদের ধারনা। সাধারণ জনগনকর্তৃক খেতাবপ্রাপ্ত ফাটাকেষ্ট মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুনাম আজ প্রকৌশলীদের দুর্নীতির কারণে ম্লান হতে বসেছে বলে সচেতনমহল মনে করেন। তাই সংশ্লিষ্ট মহলের কাছ গাড়ির মালিক, ড্রাইভার, যাত্রীরা এবং সচেতনমহল খুব দ্রুত রাস্তা সংস্কার করে জনদুর্ভোগ লাঘবের জোর দাবী জানিয়েছেন।