ওয়াশিংটন: মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে দেশটির সেনাবাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করে মার্কিন সিনেটে একটি বিল আনা হয়েছে।
রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পাটির সিনেটররা মিলে এ বিল এনেছেন। এই সিনেটরদের মধ্যে আছেন জন ম্যাককেইন – যিনি সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান। খবর বিবিসির।
বৃহস্পতিবার উপস্থাপিত হওয়া এ বিলটিতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করা বা তাদের সহায়তা দেয়া কাটছাঁট করার কথা আছে। এ ছাড়া মায়ানমারের উর্ধতন সামরিক কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করার কথা আছে – যাদের ওপর মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা পুনর্বহাল করা হবে।
এ ছাড়াও এতে মায়ানমারের ওপর আমদানি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর আমদানির ওপরেও নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা আছে।
জন ম্যাককেইন পরে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মায়ারমারে নিরপরাধ নারী-পুরুষ ও শিশুদের হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করার জন্য যেসব সামরিক কর্মকর্তা দায়ী – তারা এ বিলের আওতায় পড়বে, এবং এটা স্পষ্ট করে দেয়া হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এসব নৃশংসতার পক্ষে দাঁড়াবে না।’
এ বিল এমন এক সময় আনা হলো যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়ায় এক সফরে রওনা হয়েছেন, এবং এতে তিনি মায়ানমার সহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর এক সম্মেলনে যোগ দেবেন।
মায়ানমারের এ সহিংসতার ফলে ৬ লক্ষেরও বেশি লোক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনার জন্য সামরিক বাহিনীকে দায়ী করে, অং সান সুচির বেসামরিক সরকারকে নয়। ডেমোক্র্যাট এলিয়ট এঞ্জেল বলেন, ‘মার্কিন আইনপ্রণেতারা এ ব্যাপারে একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন। সর্হিংসতা অবশ্যই বন্ধ হতে হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এবং বার্মার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর অর্থবহ বেসামরিক নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে।’
তারা শরণার্থীদের যেন নিরাপদে মায়ানমারে ফেরত নিয়ে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার কথাও বলেন। এ ব্যাপারে মায়ানমারের কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
অন্যদিকে শনিবারেই মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হেনশ বাংলাদেশ সফরের সময় কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করেন।