বিবিসি:সৌদি আরবে নব-গঠিত একটি দুর্নীতি দমন কমিটি দেশটির ১১ জন রাজপুত্র, বর্তমান মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে। সৌদি ন্যাশনাল গার্ড এবং নৌবাহিনী প্রধানের পদেও করা হয়েছে রদবদল।
সৌদি যুবরাজ, মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধান করে, শনিবার সৌদি বাদশাহ নিজে একটি দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করেন।
সদ্য গঠিত এই কমিটিই ১১ জন রাজপুত্র, চারজন বর্তমান মন্ত্রী এবং প্রায় ডজন খানেক সাবেক মন্ত্রীকে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আটককৃতদের নাম এবং তাদেরকে আটক করার কারণ সম্পর্কে এখনো কিছুই স্পষ্ট করা হয়নি।
তবে, সৌদি গণমাধ্যম আল-অ্যারাবিয়া জানিয়েছে, ২০০৯ সালে সৌদিতে যে বন্যা হয়েছিল এবং ২০১২ সালে মার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার যে ঘটনা ঘটেছিল এই বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
নতুন এই কমিটি গঠন করার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটল।
সৌদি আরবের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, যুবরাজকে প্রধান করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সেখানে যুবরাজ চাইলে যে কাউকে গ্রেফতার করার এবং যে কারো উপরে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেবার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
সৌদি ন্যাশনাল গার্ড এবং নৌবাহিনী প্রধানের পদেও রদবদল আনা হয়েছে।
যুবরাজ সালমান ন্যাশনাল গার্ড মন্ত্রী প্রিন্স মিতেব বিন আব্দুল্লাহকে এবং নেভি কমান্ডার এডমিরাল আব্দুল্লাহ বিন সুলতান বিন মোহাম্মদ আল সুলতানকে বরখাস্ত করেছেন বলে জানিয়েছে এসপিএ।
তবে, তাদের কেন পদচ্যুত করা হয়েছে এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি।
ইরাক ও সিরিয়ার সব সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হবে : এরদোগান
আনাদোলু
ইরাক ও সিরিয়ার প্রতিটি সন্ত্রাসী ক্যাম্প তুরস্কের নিরাপত্তা বাহিনী ধ্বংস করবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোগান। শুক্রবার তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় মানিসা প্রদেশে একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই ঘোষণা দেন।
এরদোগান বলেন, তুরস্ক তার সীমান্ত এলাকা থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সহায়তায় ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মির’ আইএসবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ইউফ্রেটিস শিল্ড’ এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এরদোগান বলেন, ‘ইরাক ও সিরিয়ায় আমরা যেসব সন্ত্রাসী ক্যাম্প শনাক্ত করেছি তার প্রতিটি ক্যাম্প আমরা ধ্বংস করব।’
চলতি বছর ‘অপারেশন ইউফ্রেটিস শিল্ড’ অভিযানের মুখে টিকতে না পেরে সিরিয়ার জুরাবুলাস ও আল-বাব ত্যাগ করে আইএস। এ ছাড়াও সিরিয়ার শহর ইদলিবেও তুর্কি সেনারা তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ ও জাতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেয়ে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নয়।’ তিনি বলেন, ইরাক ও সিরিয়ার অনেক স্থানকে সন্ত্রাসীদের গুহা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তুরস্ক অবশ্যই এসব সন্ত্রাসী গুহা ধ্বংস করবে।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের ধ্বংস করা আমাদের মৌলিক অধিকার। এ জন্য কারো কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে না। এরদোগান আরো বলেন, এই অঞ্চলের পরিবর্তনের জন্য সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও লিবিয়ার লাখ লাখ মানুষকে মূল্য দিতে হয়েছে।
সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে জার্মানি-তুরস্ক বৈঠক
সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে গতকাল শনিবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন জার্মানি ও তুরস্কের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকেরা। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় আনাতোলিয়া শহরে অনুষ্ঠিত বৈঠক সম্পর্কে আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি সংবাদমাধ্যমে।
বৈঠকে নিজ নিজ দেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসওগলু ও জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গ্যাব্রিয়েল। বৈঠকের পর টুইটারে বিষয়টি জানিয়েছেন তারা। গত বছর তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরই দেশ দু’টির মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। অভ্যুত্থান চেষ্টার নিন্দা না করার জার্মানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তুরস্ক। আর এরদোগান সরকারের জারিকৃত জরুরি অবস্থার সমালোচনা করে জার্মানি মারকেল সরকার। পরবর্তীতে আরো কিছু বিষয় নিয়ে দেশ দু’টির বৈরিতা বেড়েছে।
বৈঠকের পর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ‘অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে সিগমা গ্যাব্রিয়েলের সাথে বিতর্কিত ইস্যু ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করলাম’। জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একই ধরনের একটি বিবৃতিতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। বৈঠকের পর দুই নেতার প্রকাশিত কিছু ছবিতেও দেখা গেছে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাতের ছাপ।