রয়টার্স : মাত্র একদিনে ভূমধ্যসাগরে চালানো অভিযানে নৌকাযোগে ইউরোপে যাওয়ার সময় অভিবাসন প্রত্যাশী ৭০০ জনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ২৩টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারীরা। গত শুক্রবার এই অভিযানটি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইতালীয় কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র।গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ওই এলাকায় বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হল বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সোফিয়া অভিযানে নিযুক্ত একটি স্পেনীয় জাহাজ ডুবন্ত একটি রাবারের ডিঙ্গি থেকে ৬৪ জন জীবিতকে উদ্ধারের পাশাপাশি ওই মৃতদেহগুলো খুঁজে পায়, নিজেদের ফেইসবুক পেইজে সোফিয়া নৌ আভিযান এসব তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছিল বলে এতে জানানো হয়েছে।
এ দিন মোট ছয়টি অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইতালীয় কোস্টগার্ডের ওই মুখপাত্র।
এই মুখপাত্রের নিশ্চিত করা এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা এএনএসএ জানিয়েছে, ইতালীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ দিছোত্তি সাগর থেকে উদ্ধার করা ৭৬৪ জন অভিবাসন প্রত্যাশীসহ ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর রেজ্জিও ক্যালাব্রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।দিছোত্তিতে আটটি মৃতদেহও আছে বলে জানিয়েছে এএনএসএ। তবে এই মৃতদেহগুলো স্পেনীয় জাহাজটির উদ্ধার করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে ছিল কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এএনএসএ জানিয়েছে, যেসব অভিবাসন প্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হয়েছে তারা আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলের দেশগুলো এবং পাকিস্তান, লিবিয়া, বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, মিশর, নেপাল, মরক্কো, শ্রীলঙ্কা, ইয়েমেন, সিরিয়া, জর্দান ও লেবাননের নাগরিক।
আরেকটি খবরে জানা গেছে, শুক্রবার এজিয়ান সাগর পথে গ্রিসে যাওয়ার সময় আরো তিনজন ডুবে মারা যান, ছয়জন নিখোঁজ হন ও বাকীদের উদ্ধার করা হয়।
বুধবার ভূমধ্যসাগর থেকে আরো ৯০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং সাতজনের লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল।
চলতি বছর ইতালি ও লিবিয়ার মধ্যে মানবপাচারকারীদের রুট বন্ধ করার চুক্তি হওয়ার পর জুলাই থেকে ইউরোপমুখি অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঢল হঠাৎই হ্রাস পেয়েছে। এর আগে প্রায় তিন বছর ধরে নিয়মিত হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী মানুষ বিপজ্জনক সাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উপকূলে গিয়ে হাজির হত।
Check Also
গাজায় আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত
ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজা ভূখণ্ডে আরও ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা …