শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ শ্যামনগরে বহুল আলোচিত কলেজ ছাত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তী আত্নহননে প্ররোচিতকারী ও বখাটেদের খুঁজে বের করে আটক করতে শ্যামনগর থানা পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। একের পর এক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন মানববন্ধন বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। নওয়াবেঁকী কলেজের মেধাবী ছাত্রী জয়শ্রী চক্রবর্তীর পিতা মাখন চক্রবর্তী (পাখী) শ্যামনগর থানায় বড় কুপট গ্রামের রঞ্জন মন্ডলের পুত্র শেখর মন্ডল(হানু) কে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত নামা ৩/৪জন আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী হানু কে গ্রেফতার করতে এবং এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশের তৎপরতা জোর দার হয়েছে। এ মামলাকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে হানুর পরিবার নানা অপতৎপরতা চালানো অস্বাভাবিক নয়। হানুর মাতা জানান, তার স্বামী রঞ্জন মন্ডল ও পুত্র শেখর মন্ডল হানু বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছে। এ নিয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছেন আসলেই তারা কি ভারতে না বাংলাদেশে। ভারতে চিকিৎসা শেষে আসা স্থানীয় ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার বৈদ্য‘র সাথে আসামীদের সাক্ষাৎ হওয়া, সুরক্ষিত রাখা ও মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বৈঠক হয়েছিল কিনা তা নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। গত ৪ নভেম্বর সকাল ৮টার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য শরৎ মন্ডল তার মাছের ঘেরের বাসায় সন্তোষ কুমার বৈদ্যর সাথে একান্ত বৈঠক নিয়ে গুঞ্জনটি জোরদার হচ্ছে। বৈঠকে আসামীরা ধৃত হলে এ ঘটনায় যুক্তিদাতা, অর্থদাতাসহ সহযোগিতাদের নাম প্রকাশ পেতে পারে। তাই তাদের কে আড়ালে রেখে মামলাটি ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে বৈঠকে হয়ছিল কিনা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও নিজে আড়াল করতে শরৎ মন্ডল দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।এ দিকে শরৎ মন্ডলের মৎস্য ঘের কর্মচারী অচিন্ত্য ও বিভাষ দফায় দফায় টাকা নিয়ে হানুর মাতার কাছে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। শরৎ মন্ডল টাকা ধার/কর্জ বা রঞ্জন মন্ডল, হানুর গচ্ছিত টাকা দিচ্ছেন বা নিজেই ফেঁসে যেতে পারেন তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। শেখর মন্ডল(হানু) ও তার পিতাকে গ্রেফতার করা হলে জয়শ্রী চক্রবর্তীর মাথার চুল কর্তন কৃত অংশ কোথায় রাখা হয়েছিল এবং এ হেন জঘণ্য কাজ করতে কে বা কারা উদ্বুদ্ধ করেছিল তা জানা সহজ হবে।এ কাজে অর্থ যোগানদাতার খোঁজ মিলবে। স্থানীয়রা জানান, শরৎ মন্ডল, সন্তোষ কুমার বৈদ্য, সূর্যকান্ত মন্ডল, হানুর মাতা, চুন সার ব্যবসায়ী পরিতোষ মন্ডল, বিপ্লব মন্ডল,অচিন্ত্য ও বিভাষ মন্ডল কে পুলিশে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে হানুর অবস্থান সম্পর্কে জানা যাবে। হানুকে গ্রেফতার করা হলে জয়শ্রী চক্্রবর্তীর প্রতি লাঞ্চনা ও মাথার চুল কর্তনের কার ইজ্ঞিত তথ্য ভেসে উঠবে। তবে নীরিহ জনগণ কে হয়রাণী না করাতে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে প্রশাসন কে সহযোগিতা করাই উত্তম। এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী জানান, জয়শ্রী চক্রবর্তী আতœহননে প্ররোচিতকারীদের সনাক্ত করে অচিরেই দ্রূত গ্রেফতার করা হবে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকল কে আইনের আওতায় আনা হবে।