ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট: আজ মাদ্রাসা গুলোতে অনুষ্ঠিত হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এ বিষয়ে জেলা কোন কেন্দ্রে নকলের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গতকালের আরবী দ্বিতীয় পত্রে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে নানা অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে জেডিসি পরীক্ষার ডিউটিরত শিক্ষকরা নিজেরাই পরীক্ষা চলাকালীন ব্লাকবোর্ডে প্রশ্নের উত্তর লিখে দিচ্ছেন! আর তা দেখে দেখে পরীক্ষার্থীরা উত্তরপত্রে উত্তর লিখছে! এ যেন ৮০ ও ৯০’র দশকের সেই নকল উৎসবের কাল! প্রশ্ন উঠেছে এধরনের পরীক্ষা কেন্দ্র থাকার প্রয়োজন আছে কিনা।
উল্লেখ্য, ৫ নভেম্বর রবিবার জেডিসি আরবি ২য় পত্র পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বনের দায়ে ৪ পরীক্ষার্থী ও ২ মাদ্রাসার শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব ও মাদ্রাসার সুপার শেখ শফিউল্লাহ হাবিবী জানান, এ কেন্দ্রে ১১ টি মাদ্রাসার ৩৮৩জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ৩৩জন। রবিবার আরবী ২য় পত্র পরীক্ষায় কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর আহম্মেদ মাছুম পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে ৪ শিক্ষার্থী ও ২জন শিক্ষককে বহিস্কার করেন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার ৩ ছাত্রী তাদের রোল নং যথাক্রমে ২৬৭৬১৭, ২৬৭৪৯৯, ২৬৭৪৫০০ ও ঘোনা মাদ্রাসার ছাত্র ১জন রোল ২৬৭৪৩০। পরীক্ষার হলে ব্লাক বোর্ডে উত্তর লিখে নকলে সহযোগিতার অভিযোগে কাশিবাটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল কুদ্দুস ও জাফরপুর মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হককে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজিজুর রহমান কিরণ পরীক্ষার ১ম দিন থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকায় শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন মাদ্রাসার সুপার ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ কেন্দ্রের মধ্যে অবস্থান করে থাকেন। এসব শিক্ষকরা এই কেন্দ্রটিতে নকলের স্বর্গ হিসেবেই দেখছেন।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট উদ্বিগ্ন সচেতন শিক্ষাবিদরা এই পরীক্ষা কেন্দ্রটির বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।