শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :
বিজিবি’র আমন্ত্রনে উপস্থিত কর্তব্যরত সাংবাদিকদের সাথে ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক এনামুল আরিফ সুমন এর অসৌজন্যমূলক ও আপত্তিকর আচারনের প্রতিবাদে ৬ নভেম্বর বিকাল ৪ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি আকবর কবীরের সভাপতিত্বে সর্ব সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় যে, ১৭ বিজিবির অধিনায়ক এনামুল কবীর সুমন যতদিন পর্যন্ত ব্যাটালিয়ানের দায়িত্বে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত সাংবাদিকরা বিজিবির সকল অনুষ্ঠান ও রিপোর্ট বর্জন করবে। উল্লেখ্য যে, গত ৫ নভেম্বর একটি মাছ ধরা ট্রলার সহ ১৭ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান এর কৈখালী বিওপির দায়িত্বপুর্ন এলাকায় কালিন্দি নদীর মধ্যবর্তী স্থানে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিবি-বিএসএফ) সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রথা অনুযায়ী হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এ অনুষ্ঠানটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ করার জন্য ১৭ বিজিবির ইন্টেলিজেন্স অফিসার মেজর মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত একটি পত্র শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি/সম্পাদক বরাবর প্রদান করা হয়। এমতাবস্থায় ৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় প্রেসক্লাব উপদেষ্টা দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকার শ্যামনগর প্রতিনিধি গাজী সালাউদ্দীন বাপ্পী, দৈনিক সময়ের খবর ও মোহনা টিভি শ্যামনগর প্রতিনিধি শেখ আফজাল, দৈনিক দৃষ্টিপাত শ্যামনগর উপজেলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসান মারুফ, দৈনিক কালের চিত্রের সুন্দরবন অঞ্চল প্রতিনিধি শাহিন আলম, দৈনিক সমাজের কাগজ পত্রিকার শ্যামনগর প্রতিনিধি আবু মুছা, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার কৈখালী ইউনিয়ন প্রতিনিধি মনির হোসেন শামিম সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিক কৈখালী বিওপিতে উপস্থিত হয়। দুপুর ১২ টা ১৫ মিনিটে যথারীতি কালিন্দী নদীতে উভয় দেশের জিরো পয়েন্টে হস্তান্তর প্রক্রিয়া অনুষ্ঠানে বিজিপি সদস্যদের সাথে ৫ জন সাংবাদিক তাদের স্পিড বোর্ড যোগে ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়। সেখানে বিএসএফ অফিসাররা বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সাথে সৌহাদ্যপূর্ন আচারনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সাথে করমর্দন করেন। অনুষ্ঠানে ভারতীয় ৩ জন সাংবাদিককে ছবি সংগ্রহ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ছবি উঠানেরা এক পর্যায়ে আকর্ষিকভাবে বিজিবি অধিনায়ক এনামুল কবীর সুমন সময়ের খবর পত্রিকা ও মোহনা টিভির প্রতিনিধি শেখ আফজাল এর ক্যামেরা ও ব্যাগ কেড়ে নেয় এবং বাংলাদেশী সকল সাংবাদিকদের স্পিড বোর্ডে সুন্দরবনে নিয়ে বেঁধে রাখার হুমকি দেয়। ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন সরকার এবং থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মান্নান আলী উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুজন সরকারের বিশেষ অনুরোধে সাংবাদিকদের ক্যামেরা ও ব্যাগ ফেরত দেয়। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের জরুরী সভায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
শ্যামনগরে ছাত্রলীগের ২ টি ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত
শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি গাজী একরামুল হক লায়েস ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাকিম সবুজ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, ৩ নং শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন ও ৪ নং নুরনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম না থাকায় কমিটি দুাইটি বিলুপ্তি করেছে।