ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:পাবনার সাঁথিয়ায় ২ সন্তানের জননী আলেয়া খাতুন (৪৩) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের পাইকরহাটি গ্রামে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে টুটুল মল্লিক (৩৫) নামে এক যুবককে আটক করেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৫ দিন পর পাইকরহাটি গ্রামের বিলে পানির মধ্যে ধানখেত থেকে গৃহবধূ আলেয়ার লাশ উদ্ধার করেন।
সাঁথিয়া থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাইকরহাটি গ্রামের আরদোশ আলী মল্লিকের স্ত্রী আলেয়া খাতুন (৪৩) ১ নভেম্বর বুধবার দুপুরের দিকে পাইকরহাটি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশে লাকড়ী কুড়ানোর জন্য যান। আলেয়া বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্বজনরা অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে গত ৩ নভেম্বর শুক্রবার আলেয়ার স্বামী আরদোশ মল্লিক সাঁথিয়া থানায় একটি জিডি করেন।
আজ মঙ্গলবার সাঁথিয়া থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেড়া সার্কেল) আশিস বিন হাসান জানান, থানায় জিডি হওয়ার পর পরই হত্যাকারীকে খোঁজার জন্য পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে মোবাইল ফোন ট্যাগ করে কৌশলে সন্দেহভাজন আসামি একই গ্রামের আতাহার মল্লিকের ছেলে টুটুল মল্লিককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে টুটুল মল্লিক গৃহবধূ আলেয়াকে নির্জন জায়গায় একা পেয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। আলেয়া ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করার কথা বলায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আলেয়ার পড়নের শাড়ি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ধানের জমিতে পানির ভিতর লাশ লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ টুটুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাকে সঙ্গে নিয়ে পাইকরহাটি গ্রামের ঈদগাহ মাঠের পাশ্চিমে পানির মধ্যে ধানখেত থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর রাতে আলেয়ার লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আলেয়ার মেয়ে শাবানা খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।