ক্রাইমবার্তা রিপোর্ট:কুমিল্লায় নিজ স্কুলের ছাত্রদের হাতেই খুন হয়েছেন আরেক ছাত্র। বুধবার রাতে জেলার হোমনা থানা পুলিশ উপজেলার দুলাল পুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ জাহিদের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে তাকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃত হওয়ার ৫ দিন পর নিজ স্কুলের সেপটিক ট্যাংক থেকে জাহিদের লাশ উদ্ধার করা হয়। খুন হওয়া ছাত্রের নাম জাহিদ হোসেন। সে দুলালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শেণির ছাত্র।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত ৪ নভেম্বর জাহিদ বাড়ি থেকে স্থানীয় একটি বাজারে আসার পর তার স্কুলের ২ ছাত্র খাইরুল ও এমদাদসহ ৩ জন জোরপূর্বক বাজারের একটি ঘরে নিয়ে তাকে আটকে রাখে। সেখানেই রাতে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী স্কুলের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়। পরে ঘাতকরা তার পরিবারের মুঠোফোনে কল করে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি থানায় অবহিত করার পর পুলিশ তদন্তে নামে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেএসসি পরীক্ষার পর স্কুলের সামনে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করবেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল কলের সূত্র ধরে পুলিশ নিহত জাহিদের স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র খাইরুল, এমদাদ ও স্থানীয় একটি মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী জিদাদকে বুধবার আটক করে। পরে তারা জাহিদ হোসেনকে হত্যা ও স্কুলের সেপটিক ট্যাংকিতে লাশ গুমের বিষয়টি স্বীকার করে।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রসুল আহমেদ নিজামী জানান, নিজ স্কুলের ছাত্রদের হাতেই জাহিদ খুন হয়েছে। তবে ওই খুনের নেপথ্যে মুক্তিপণ ছাড়াও অন্য কোনো বিষয় আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Check Also
ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়
দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …