আকবর হোসেন,তালাঃ গাভী পালনে স্বাবলম্বী তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের জেয়ালা ঘোষ পাড়ার জ্ঞানেন্দ্র নাথ এর পুত্র দিবস ঘোষ । তিনি গাভী পালন করে ৩বার জাতীয় পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন । বর্তমানে তার দুগ্ধ খামারে গাভীর সংখ্যা ৪২ । তিনি জাতীয় সমবায় পুরস্কার -২০০৯,জাতীয় শেষ্ঠ সমবায়ী পুরস্কার (মিল্ক ইউনিয়ন) -২০০৯,বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার (ব্রোঞ্জ পদক)-২০১০,জাতীয় শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরস্কার (মিল্ক ইউনিয়ন) -২০১০,বিভাগ ভিত্তিক শ্রেষ্ঠ সমবায়ী পুরস্কার- ২০১০,প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় সমবায় সম্মননা পুরস্কার ২০১১,সাতক্ষীরা বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী পুরস্কার -২০০৬ সাল হতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এছাড়াও তালা উপজেলা পর্যায়ে ২০১৭ পর্যন্ত প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ সমবায় পুরস্কার প্রাপ্তহন ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেয়ালা ঘোষ পাড়ার জ্ঞানেন্দ্র নাথ এর পুত্র দিবস ঘোষ বিশাল এলাকা জুড়ে গড়ে তুলেছেন দুগ্ধ উৎপাদনকারী খামার । তিনি ১৯৮০ সালে ৪ টাকার বিনিময়ে ১টি ছাগল ক্রয় করেন । এই ছাগল থেকে প্রায় ১৫০টি ছাগল বৃদ্ধি করেন । ১৯৮৯ সাল থেকে বানিজ্যিকভাবে গাভী পালন শুরু করেন । তিনি প্রথমে দেশীয় ৩টি গাভী বিক্রয় করে ৮হাজার ৪শত টাকার বিনিমেয়ে ১টি বিদেশী গাভী ক্রয় করেন । ১টি গাভী হতে ক্রমানয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তার খামারে ৬৫টি গাভী হয় । সেখান থেকে তিনি প্রায় ১০ লক্ষ টাকার অধিক দামে ২০টি গাভী বিক্রয় করে জমি ক্রয় করেন । বর্তমানে তার খামারে গাভীর সংখ্যা ৪২। এর মধ্যে ১৭টি গাভী হতে দৈনিক ২হাজার হতে ২হাজার ৪০ লিটার দুধ দিচ্ছে । প্রতি কেজি দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩৫টাকা দরে । গাভী পালন করে খরচ বাদে তিনি প্রতি বৎসর ৩/৪ লক্ষ টাকার অধিক মুনাফা অর্জন করেন । দিবস ঘোষ বলেন, আমি গাভী পালন করে ৩টি ছেলে মেয়ে লেখা পড়া করিয়েছি । আমার বড় ছেলে ঢাকা ভার্সিটি হতে এমবিএ করে, বর্তমানে ঢাকা মিল্ক ভিটার মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত আছে । অন্য ছেলে এবং মেয়ে লেখাপড়া করছে। আমি দুগ্ধখামার করে সুখে আছি । আমার কোন অভাব নাই । তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার যৌতুক বিরোধী আন্দোলন করছে । আমিও সরকারের সাথে একাগ্রতা স্বীকার করছি এবং আমার ছেলের বিয়েতে যৌতুকতো নেবই না বরং মেয়ের পিতাকে টাকা দিয়ে মেয়েকে পোন দিয়ে নিয়ে আসবো । দিবস ঘোষ একাধারে খলিলনগর জেয়ালা ঘোষ পাড়া দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতির সভাপতি, তালা উপজেলা কেন্দ্রীয় দুগ্ধ সমবায় সমিতির সভাপতি । তিনি জাতীয় ভাবে ৩বার শ্রেষ্ট সমবায় পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কারে ভুষিত হন । তিনি ভারতের গুজরাটে গাভী পালনের উপর প্রশিক্ষন গ্রহন করেন ।
Check Also
স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে স্ত্রীও মারা গেলেন
কানাইলাল দাশ (৬৮) অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। তবে পথেই তাঁর মৃত্যু …