ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় এসএসসির ফরম পূরণের জন্য অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে জামানত আদায় করছে বলে একটি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ স্বীকার করে জানিয়েছে, এসব পরীক্ষার্থী এসএসসি পাস করলে তাদের টাকা ফিরিয়ে দেয়া হবে। তবে অনুত্তীর্ণ হলে টাকা ফেরত দেয়া হবে না।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটি হল পলাশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। গত মঙ্গলবার থেকে বিদ্যালয়টিতে এসএসসির ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এবার বিদ্যালয়ের ১৫০ জন নিয়মিত ও সাতজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী এসএসপি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
এর মধ্যে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করার জন্য জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিতে বলেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মানিক মিয়া নামে এক অভিভাবক বলেন, তার ছেলে এই বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়।
তিনি বলেন, ওই বিষয়ে পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ২০ হাজার টাকা জামানত চান। পরে ১০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয়।
এই অভিভাবকের দাবি, অপর ছয় অনিয়মিত পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও মোটা অংকের জামানত নিয়ে ফরম পূরণ করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম টাকা নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের পড়ায় মনোযোগ ও অভিভাবকদের সতর্ক করতে জামানত নেয়া হয়েছে। পরীক্ষায় পাস করলে তাদের জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
জামানত নেয়ার বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবগত আছেন বলেও দাবি করেন প্রধান শিক্ষক।
তবে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি বলেন, জামানত নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। জামানত নিয়ে শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কোনো সুযোগ নেই।