ক্রাইমবার্তা ডেস্করিপোর্ট:বগুড়ার শেরপুরে স্কুলছাত্রীর ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণপিটুনি শেষে গলায় জুতার মালা পরিয়ে গ্রাম ঘুরিয়েছে গ্রাম্য মাতব্বররা। পরে পুলিশ এই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
আজ উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম তোজাম হোসেন (৪৫)। সে একইগ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ও পেশায় একজন ভ্যানচালক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযুক্ত তোজাম হোসেন গত মঙ্গলবার রাতে মহিপুর গ্রামের রবি মন্ডলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের ঘরে ঢুকে তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। এসময় ওই স্কুলছাত্রীর চিৎকারে তার বাবা-মা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং ঘরের মধ্যে তোজামকে হাতেনাতে আটক করে। এক পর্যায়েয় এই খবর দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। অভিযুক্ত তোজামকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলা হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে রাতভর চলে দেন-দরবার। কিন্তু স্থানীয়ভাবে সমঝোতা করতে ব্যর্থ হয়।
এরপর বুধবার সকালে গ্রাম্য মাতব্বররা ও বিক্ষুব্ধ লোকজন তোজামকে গণপিটুনি দিয়ে জুতার মালা গলায় পড়িয়ে তাকে গ্রাম ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং অভিযুক্ত তোজামকে উদ্ধার করেন।
বগুড়ার শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, অভিযুক্তকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দিয়ে থানাহাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এদিকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে লম্পট তোজাম এই স্কুলছাত্রীতে উত্যক্ত করে আসছিল। নানা কু-প্রস্তাবও দেয়। এতে কোন সাড়া না পেয়ে ঘটনার রাতে ঘরের টিন কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। ইতিপূর্বেও তোজাম এরকম একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।