নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়ায় পরীক্ষা দিতে আসার পথে অটোবাইক উল্টে শাওন (১৩) নামে এক জেএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে সিংড়া উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। শাওন উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ডাকমন্ডব গ্রামের জয়েন উদ্দিনের ছেলে এবং একই ইউনিয়নের হামিরঘোষ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। জেএসসি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সে উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ডাকমন্ডব গ্রাম থেকে অটোবাইকে করে সিংড়ায় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শেরকোল ইউনিয়নের গোপেন্দ্র নগর এলাকায় অটোবাইক উল্টে রাস্তার পাশের পানিতে ডুবে যায়। এসময় সহপাঠিরা তীরে উঠে আসতে পারলেও শাওন উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শাওনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে শাওনের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাটোরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের
কর্মচারীদের সাত দফা দাবীতে মানববন্ধন
নাটোর প্রতিনিধি
সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাত হাজার ৫৯ জন ওয়ার্ক চার্জড কর্মচারীকে নিয়মিত করে সংস্থাপনে আনা সহ সাত দফা দাবীতে নাটোরে মানববন্ধন করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের ওয়াকর্ চার্জড ও মাষ্টার রোল কর্মচারীরা অফিসের সামনে রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত একঘন্টা মানববন্ধন করেছে। তাদের শূন্যপদের বিপরীতে অথবা কনভার্টেড রেগুলার এর আওতায় এনে প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে মহামান্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দাবীগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। ওয়ার্ক চার্জড কর্মচারীদের চাকুরীর বয়সসীমা ৬০ বছরের জায়গায় ৬২ বছর করতে হবে এবং ওয়াকর্ চার্জড কর্মচারীদের মধ্যে বিনা পেনশনে যাদের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে অথবা মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে বিভাগীয়ভাবে যথোপযুক্তভাবে অনুদানের ব্যবস্থা করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাটোর সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মফিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদাক মোঃ নূরুজ্জামান। এছাড়া সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মল্লিক, নূর মোহাম্মদ ও মোঃ আব্দুর রহিম। তারা বলেন, প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৬ জুলাই ২০১৪ ইং সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর করা হলে তিনি চাকুরী বিধি শিথিল করতঃশূন্যপদ বরাবর ওয়ার্কচাজড কর্মচারীদেরকে নিয়মিত করনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরেও আজ পর্যন্ত বিষয়টির কোন সুরাহা না হওয়ায় কেন্দ্রীয় সংসদ এই আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সমাবেশে জেলার তৃতীয় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।